বাংলারদর্পণ :
গত শনিবার সন্ধ্যা রাতে বরিশালের ত্রিশ গোডাউন এলাকায় ঘুরতে আসা কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকের চলাচলের ভিডিও গোপনে করছিলেন বরিশাল নগরীর গভীর জলের প্রতারক সংবাদিক মামুনুর-রশিদ-নোমানী ও তার আরো ২ সহযোগীরা। বিষয়টি ওই বিশিষ্টজনরা বুঝতে পারায় ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালান অভিযুক্ত গভীর জলের প্রতারক সংবাদিক মামুনুর-রশিদ-নোমানী ও তার আরো ২ সহযোগী কামরুল ও লাবু গাজী।
পরে এ ঘটনায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার ভিত্তিতে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযুক্তদের কীর্তনখোলা নদীর পাড় ত্রিশ গোডাউন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে কোতয়ালী পুলিশ। বিষয়টি থানার ডিউটি অফিসার নিশ্চিত করেছেন এবং জানান মামলা তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এসআই আব্দুল মান্নান।
মামুনুর রশিদ নোমানীর গ্রেফতারের পরে বরিশাল নগরীতে চলছে ব্যবপক সমালোচনা ও করা আলোচনা। তাকে ছাড়াতে চলছে উচ্চমহলের তদবিরও।
অন্যদিকে, তারগ্রেফতারের পর নগরীর বিভিন্ন জায়গার পেপার লাগানোর স্থানে ভীর জমেগেছে। কেউ কেউ বলছে একে গ্রেফতার করেছেন ভালো হয়েছে। মুখে দাড়ি আর লেবাজী জামাকাপড় পরে আমাদের সাথে অনেক অমানবিকতা করেছেন বিভিন্ন গ্রেফতারি ভয় দেখিয়ে টাকা নিতেন। তিনি বিভিন্ন নাম ভাঙিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতেন।
নোমানীর নামে আরো অভিযোগ উঠে, তিনি বরিশালের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিরবে ও কৌসলে চাঁদাবাজী করতেন। তার ফেইসগ্রুপ ফ্রেন্ডসফরলাইফ নামে গ্রুপের মাধ্যমে সাধারণ ও বিশিষ্ট জনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা। তাছাড়াও বরিশালের যদি কোন ব্যক্তি বিপদে পরতো সেখানে সে হাজির হয়ে ঝামেলা মিমাংসা করে দেয়ার নামে অর্থহাতিয়ে নিতেন।
সাধারণ মানুষ বলছে এই নোমানী কি জিনিস কতটা ক্রাইমার অপরাধের সাথে জড়িত তার ফেইসবুক পুলিশের তদন্ত করলে ধরা খেয়ে যাবে। এবং আরোবহু কেলেঙ্কারীর তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে।
একটি বিশেষ সূত্র জানায়, নোমানী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ বছর যাবৎ প্রতারনা করে আসছে। এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতার্দের সাথে তার সক্ষমতাও রয়েছে বলে জানান।
এদিকে, নগরীর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন অভিযোগ তুলে এই নোমানী মামুন বরিশাল নগরীর সাংবাদিক অঙ্গনে বিভিন্ন রটনা ও ঘটনা কান-কথা এবং মিথ্যা কথা বলে গ্রুপিং সৃষ্টি করে নগরীর মিডিয়া পারায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।
ভুক্তভুগীদর দাবী, নোমানীকে পুলিশী হেফাজতে রেখে যদি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তবে ক্রাইমসহ নারী কেলেঙ্কারী অর্থ আত্মসাৎ সামাজিক মাধ্যমে প্রতারনাসহ আরো বিভিন্ন তথ্য পাবে।