কেশবপুরে ক্লাব গুলোর কার্যক্রম নেই, হারিয়ে যাচ্ছে খেলাধুলা : যুবসমাজ ঝুঁকছে মাদকের দিকে

রাকিব আহম্মাদ সোহেল, যশোর :
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় এক সময় ফুটবল, ভলিবল, কাবাডি, ঘোড়দৌর, কানামাছি, ডাংগুলি ইত্যাদি খেলার জন্য খ্যাতি ছিল। পাশাপশি গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্ধা, ব্যাটমিন্টন, বৌচি, ইচিংবিচিং, ওপেন টি বাইস্কোপ, কানামাছি ইত্যাদি গ্রামীণ খেলার প্রচুর প্রচলন ছিল।

ক্লাবের কার্যক্রম নেই ফলে কেশবপুর শহরে তিনটি খেলার মাঠ পড়ে আছে।
একদিকে আধুনিকায়ন ফলে মোবাইল সেটের মাধ্যমে ভিডিও গেমস, ফেসবুক,টেলিভিশন ও করোনা তরুণ ও যুবকদের গৃহবন্দি করে ফেলেছে।

ফলে যুব সমাজ এমনকি কিশোর-কিশোরীরাও খেলাধুলার পরিবর্তে স্মার্ট মোবাইল ফোন ট্যাব, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা টিভির স্ক্রিনে বন্দি হয়ে পড়ছে। ঘরের চার দেয়াল আটকে যচ্ছে দুরন্ত শৈশবের প্রাণচঞ্চল জীবন।

অপর দিকে আগের মত ক্লাব, পাড়া বা ইউনিয়ন ও স্কুল কলেজ ভিত্তিক খেলা দেখা যায় না। আগে বর্ষা মৌসুমে কেশবপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের একাধিক গ্রামের মাঠে আয়োজন করা হতো ফুটবল ও কাবাডি খেলার প্রতিযোগিতা।কেশবপুরে অনুষ্ঠিত হয় মাইকেল মধুসূদন গোল্ডকাপ, মধু খেলাঘরের আয়োজনে অধ্যক্ষ নওয়াব আলী কাপ, ইউওনো কাপ। দেওয়া হত আকর্ষণীয় পুরস্কার। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না সেই খেলার মাঠ ও খেলা। কেশবপুর শহরে তিনটি খেলার মাঠ আছে ।

কেশবপুর পাবলিক ময়দান, কেশবপুর পাইলট স্কুল মাঠ ও কেশবপুর কলেজ মাঠ। এসব মাঠে এখন খেলা দেখা যায় না। খেলাধুলায় মনোনিবেশ থাকলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি পড়াশুনার দিকে ধাবিত হবে এবং মাদকসহ সমস্ত খারাপ পথ থেকে দূরে থাকবে।

মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলা ধুলার বিকল্প নেই। তাই ক্লাব কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজন। এরজন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। কেশবপুরে রয়েছে কেশবপুর ক্লাব। তার সুন্দর ভবন থাকলেও নেই কার্যক্রম। চক্রবাক ক্লাব থাকলেও তার অবস্থান একই, মধুচক্র ও আলতাপোল আদর্শ ক্লাবের আরো করুন।
তাই মাদক মুক্ত কেশবপুর গড়তে স্থানীয় জনগন, জনপ্রতিনিধি ও সরকার কে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলারদর্পণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *