গর্ভাবস্থায় ডায়েটিং সন্তানের জন্য ক্ষতিকর

বাংলার দর্পন ডেস্ক:-

আজকাল ইয়ং নারীদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। কেউ চান না শরীরে বাড়তি মেদ। তাই নারীরা বুঝে হোক না বুঝে হোক প্রেগন্যান্সিতেও ওজন কমাতে চেষ্টা করেন।
বিশেষজ্ঞগণ গবেষণায় দেখেছেন, যারা প্রেগন্যান্সিতে ডায়েটিং ও এক্সারসাইজ করেন তাদের প্রিম্যাসিউর ডেলিভারি, সন্তানের ওজন কম হওয়াসহ দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই যারা সন্তান নিতে চান তাদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার গর্ভস্থ সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব হলে সন্তানের নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই কোনো অবস্থাতেই গর্ভাবস্থায় ডায়েটিং করা উচিত নয়। বরং গর্ভাবস্থায় মায়ের অধিক পুষ্টিসম্পন্ন খাবার আহার করা উচিত।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত নিউট্রিশন না পেলে জন্ম নেয়া শিশুর অন্যান্য অসুবিধার মধ্যে খিচুনি, অমনযোগ বা অ্যাটেনশন ডেফিসিট হতে পারে। আর এ ধরনের সমস্যার অন্যতম কারণ পুওর ফেটাল নিউট্রিশন বা গর্ভাবস্থায় স্বল্প বা অপর্যাপ্ত আহার অথবা ডায়েটিং করা। তাই ভূমিষ্ঠ সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য গর্ভাবস্থায় কোনোভাবেই ডায়েটিং করা উচিত নয়। শুধু তাই নয়, সন্তানের জন্মের দুবছর পর্যন্ত মায়ের কোনো ধরনের ডায়েটিং করা উচিত নয়। কারণ এ সময় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। মায়ের পুষ্টি না থাকলে সন্তানের গ্রোথ সমস্যা হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় এবং ল্যাকটেশন পিরিয়ডে কোনো ক্ষেত্রে ডায়েটিং করা উচিত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *