শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন, কয়রা :
কপোতাক্ষের জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারনে সদ্য নির্মিত ২নং কয়রা ও ঘাটাখালি রিংবাঁধের ৫টি পয়েন্ট ভেঙে আবারো লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে খুলনার সুন্দরবন উপকূলীয় উপজেলা কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা, গোবরা হরিণখোলা সহ অন্তত ১০ টি গ্রাম।
গত ২০ মে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের জলোচ্ছাসে কয়রা সদরের হরিণখোলা, ঘাটাখালি, ২নং কয়রা বেরি-বাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় বিস্তৃর্ন এলাকা । ক্ষতি গ্রস্ত হয় ঘর বাড়ি কোটি কোটি টাকার মৎস্য সম্পদসহ সবজির ক্ষেত। দীর্ঘ মাস ব্যাপি পানি বন্দি মানুষগুলো দিনরাত পরিশ্রম করে সেচ্ছা-শ্রমের মাধ্যমে বাধ গুলো আটকাতে সক্ষম হলেও রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে ফের সেই রিং বাধ ভেঙ্গে আবারও প্লাবিত হয়েছে বিস্তৃন্ন এলাকা। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল ভেঙে যাওয়া পয়েন্টগুলি পরিদর্শন করেছেন।
কয়রা সদরের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ঢালী আক্তারুজ্জামান বলেন, এলাকা বাসির সেচ্ছা-শ্রমের মাধ্যমে তৈরি বাধ গুলো রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে ফের প্লাবিত হয়েছে। এতে করে মানুষ নতুন করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি দ্রূত বাঁধ নির্মাণে কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাঁধ ভাঙ্গার পর পরই স্থানীয় জনসাধারণ সেচ্ছা-শ্রমের মাধ্যমে বাঁধ আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসংগত ঘুর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে উপজেলার কয়রা সদর, মহারাজপুরের দশালিয়া, লোকা, উত্তর বেদকাশির রত্না, গাজীপাড়া, কাশিরহাটখোলা,
হাজতখালি, দক্ষিন বেদকাশির চরামুখা, গোলখালি ও আংটিহারায় পানি উন্নয়ন
বোর্ডের ১৩-১৪/১ ও ১৩-১৪/২ পোল্ডারের ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে
৪টি ইউনিয়নের সিংহভাগ প্লাবিত হয়েছিল।
গত দু’মাস যাবত এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ নির্মাণ করে ৩টি ইউনিয়ন লোনাপানি মুক্ত করতে সক্ষম হলেও এখনো পর্যন্ত উত্তর বেদকাশির কাশিরহাট খোলা বেড়িবাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত এ বাঁধ দিয়ে লোনা পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় চলতি পূর্নিমার জোয়ারে বৃহস্পতিবার ২০ আগস্ট স্বাভাবিকের থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে বেদকাশি গ্রাম। সহ আরো কয়েকটি গ্রাম। বাংলারদর্পন