মাসুদ রানা:
মোহাম্মদ ফারুক হোসেন পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সৎ নিষ্ঠাবান একজন সাদা মাঠা সহজ সরল মানুষ। নিজের স্বপ্ন পূরন ও ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে নিজের কাছে থাকা কিছু জমানো সঞ্চয় ও নিজ থাকার বসতভিটে ও আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী’দের কাছ থেকে দার দেনা করে ৪০(চল্লিশ লক্ষ) টাকা খরচ করে এক বছর সময় দিয়ে একটি জাহাজ তৈরি করেছেন ।
জাহাজটি বানানোর পর থেকে মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের পরিবার টি বেশ ভালো ভাবেই জীবন যাপন কর ছিলেন। কিছুদির যাওয়ার পর ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে সেতু এন্টার প্রাইজ নামক একটি কোম্পানী’তে কাগজে কলমে চুক্তি করে মাসিক চুক্তি’তে মো.ফারুক হোসেন টার নিজ জাহাজ টি ভাড়া দিয়েছেন পদ্না সেতুর বালু ,সিমেন্ট সহ বিভিন্ন মালামাল বহন করার জন্য।
কিন্তু দুংখের বিষয় হলো চুক্তির ১৬ দিন এর মাথায় ইকবাল হোসেন ও সেতু এন্টার প্রাইজের লোকজনের অসাবধানতার কারনে মাল বৌজাই কৃত জাহাজটি’তে মাত্রা অতিরিক্ত বালু দেয়ায় জাহাজটি পদ্না সেতুর সংলগ্ন এলাকায় ডুবে যায় ।
ডুবে যাওয়ার ২০ দিন পার হয়ে যাওয়ার পর ও ইকবাল হোসেন ও সেতু এন্টার প্রাইজের মালিকগণ জাহাজটি পানি থেকে উঠানোর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।মো.ফারুক হোসেন সেতু এন্টার প্রাইজের মালিকবর্গ ও ইকবাল হোসেন সাথে বারবার যোগাযোগ ও দেখা করে তাদের কাছে গিয়ে ও কোনো সদুত্তর পায়নি।
তারা সুধু মিথ্যার আশার বাণী শুনিয়েছেন।এই দিকে মো.ফারুক হোসেন ও তার পরিবার কোনো সদুত্তর না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।তাই এমতাবস্থায় মো.ফারুক হোসেন তার শেষ সম্বল জাহাজটি ফিরে পাওয়ার জন্য এদির আগ্রহে বসে আছে প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার হারিয়ে যাওয়া জাহাজটি ফিরে দিতে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
বাংলারদর্পন