প্রতিবেদক :
ঘূর্ণিঝড় থেকে আরও শক্তি সঞ্চয় করে ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা ‘মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়’-এ পরিণত হয়ে মহারাষ্ট্রের উপকূলে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল নিসর্গ। মৌসম ভবন জানিয়েছে, দুপুর একটা থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুম্বই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে আলিবাগের উপকূলে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুপুর একটায় দেওয়া মৌসম ভবনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে নিসর্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আলিবাগ উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল ঝড়বৃষ্টি। মুম্বইয়েও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে চলছে বৃষ্টিপাত।
বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গোয়া এবং মুম্বইয়ে ডপলার ওয়েদার রেডার (ডিআরডব্লিউ)-এ নিরন্তর মনিটরিং করা হচ্ছে এই ঝড়। হাওয়া অফিস বলেছে, ‘‘রেডারের মাধ্যমে বোঝা গিয়েছে যে নিসর্গর আই বা চোখ প্রায় ৬৫ কিলোমিটার বিস্তৃত। প্রতি ঘণ্টায় তার ব্যাস কমেছে। যার অর্থ আরও শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। মৌসম ভবনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ ছাড়া সাড়ে ছ’ফুট পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় নিসর্গের দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে মুম্বই-সহ গুজরাত, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন দিউ-এ। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথে এই দুই রাজ্য ও দুই কেন্দ্রশাসিত অর রাজ্যই পড়বে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা। তাই সেখানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়ায় জারি হয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা।
উপকূল বরাবর মহারাষ্ট্র ও গুজরাত দুই রাজ্য মিলিয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ৩০টি দল নামানো হয়েছে। এক একটি দলে রয়েছেন ৪৫ জন। উপকূল এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর কেউ যাতে সমুদ্রের ধারে কাছে না আসতে পারে জন্য টহল দিচ্ছেন এই বাহিনীর সদস্যরা। উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবী ও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের উপর।