আবারও বাসন্তীর প্রতিধ্বনি, ব্যবস্থা নিতে হবে এক্ষুনি | বাংলারদর্পন

প্রতিবেদকঃ
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ট্রাজেডির নাম ‘বাসন্তী।’ কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় এক জেলে পরিবারের বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে বাসন্তীর জাল পরে লজ্জা নিবারণের ছবি প্রকাশিত হয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়। আর সেই বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত ছবির ফটোগ্রাফার ছিলেন ইত্তেফাকেরই নিজস্ব আলোক চিত্রি আফতাব আহমেদ। অনেকে ছবিটির নাম দিয়েছেন জাল-বসনা বাসন্তী।

ছবিটিতে দেখানো হয় বাসন্তী ও দুর্গাতি নামের দুই যুবতী মেয়েকে। অভাবের জন্য যারা সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারছিল না। ছবিতে বাসন্তীর পরনে ছিল একটি মাছ ধরার জাল। এই ছবি তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধু সরকারকে রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছিল। । বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং এই ছবির মধ্যেও যোগসূত্র রয়েছে এমন দাবী অনেকেরই। কিন্তু সেই ছবি প্রকাশিত হওয়ার কিছুকালের মধ্যেই বেরিয়ে আসে ভিন্ন তথ্য। বাসন্তীকে নিয়ে হলুদ সাংবাদিকতা ও নোংরা রাজনীতির খোলস থেকে বেরিয়ে এসেছে আসল রূপ। পরিষ্কার হয়ে যায় ছবিটি ছিল সাজানো।

বিতর্কিত ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ ও খুন হন দুর্বৃত্তদের হাতে ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে । করোনার এ সংকটকালে আফতাব আহমেদ এর মত বিতর্কিত সাংবাদিক কিংবা রাজনিতিবিদ ডিজিটাল এ যুগে শতগুণ বেশি ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার নিরলস প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ আজ দেশকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠা করেছে ভিন্নমাত্রায় । ভিন্নমাত্রাযর সেই দেশ এবং আপনাকে নিয়ে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণকারি খন্দকার মোশতাক যেমন ৭৫ এ ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু কে সপরিবারে উৎখাত করেছিল, তেমনি আওয়ামী লীগে লুকিয়ে থাকা খন্দকার মোশতাকের কিছু বংশধরেরা আবারো বাসন্তীর প্রতিচ্ছবি দেখছে ।

না হলে গত ১২ বছরে কোটি কোটি টাকা বৈধ-অবৈধভাবে উপার্জন করার পরেও এতিম, গরী্‌ অসহায়দের চাউল কিংবা ত্রাণ নিয়ে ভানুমতির খেলার কারন কি ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি হলফ করে বলতে পারি আওয়ামীলীগে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকা এসব মোশতাকের বংশধররা আবারো ৭৪ সৃষ্টি করতে চাইছে। সুতরাং আমার মতামত ১ কেজি চাল কিংবা ত্রাণ বেআইনিভাবে আত্মসাৎ করা হলে তাকে সরাসরি ক্রসফায়ার । নো কম্প্রোমাইজ। অগ্রযাত্রার একুশে এসে আবারো শুনতে হবে বাসন্তী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা এসব শুনতে চাইনা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *