নরসিংদীর মাধবদী রাজধানী আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ

 

বাংলার দর্পন ডটকম :

নরসিংদীর মাধবদী রাজধানী আবাসিক হোটেলের মালিকের কাছে বর্ডার বৃদ্ধির চেয়ে পতিতা বৃত্তি পরিচালনার মাধ্যমে হোটেল থেকে অর্থ উপার্জনই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হোটেলে অবস্থানকারীদের বর্ণনায় জানা যায়, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ডেটিং প্লেজ রাজধানী আবাসিক হোটেল। এমন খবরে স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা পা রাখে রাজধানী আবাসিক হোটেল নামের মরণফাঁদে। এ আবাসিক হোটেলে আসা ছেলে-মেয়েদের যৌন মিলনের দৃশ্য গোপনে ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। আর এখান থেকেই শুরু হয় একটি মেয়ের নষ্ট কাহিনী। গোপন দৃশ্য ভিডিও করা হয়েছে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেয়া হবে এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে হোটেলের মালিক ও দালালচক্র। একপর্যায়ে মোটা অংকের টাকায় খদ্দেরের সাথে দৈহিক মিলনে বাধ্য করায় বলে সূত্র জানায়। এরপর আর স্বাভাবিক জীবনে যেতে চাইলেও যেতে পারে না এবং ধীরে ধীরে বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হয় বলে আর একটি সূত্র জানায়। এছাড়াও রাজধানী আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। এ হোটেল এখন হেরোইন, ফেনসিডিল ও অন্যতম মরণনেশা ইয়াবা সেবনের নিরাপদ স্থান। এতে পুরনোদের সাথে নতুন করে আসক্ত হচ্ছে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরাও। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসাধু দালালচক্র চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ গরিব অসহায় অপ্রাপ্ত কিশোরীদের নরসিংদীর মাধবদীতে এনে বিভিন্ন কৌশলে বিক্রি করে দেয়া হয় দেহ ব্যবসায়ী আবাসিক হোটেলের মালিকের কাছে। দেহ ব্যবসায়ীদের জোরপূর্বক এসব অল্পবয়সী মেয়েদের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার করে মোটা অংকের বিনিময়ে মনোরঞ্জনের জন্য তুলে দেয় খদ্দরের হাতে। কোন মেয়ে এসব দেহ ব্যবসায় যেতে না চাইলে কথিত দালালরা নির্যাতনের স্টিম রুলার চালিয়ে বাধ্য করায়।

নরসিংদীর দেহ ব্যবসার যতগুলো হোটেল রয়েছে তাদের মধ্যে মাধবদীর রাজধানী আবাসিক হোটেল অন্যতম। এইসব আবাসিক হোটেলে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা নিরাপদ মনে করে হোটেলে বসে অনায়াসে মাদক সেবন এবং যৌনমিলনের জন্য আসে। এছাড়া এ হোটেলে সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীদের নিরাপদ আড্ডাখানা বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি রয়েছে বলেও জানা যায়। এ হোটেলের এক কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, এ হোটেল থেকে প্রতি মাসে পুলিশ বিশাল অংকের মাসোহারা নেয়। তাই এ হোটেল জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বেশ দাপটের সাথে। ওই ব্যবসায়ীদের দেখাশোনার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী। এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের লাঞ্ছিত হতে হয়। আর লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করে না। তারপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ওই মাদক ব্যবসায় সহায়তা করে থাকে। বিনিময়ে তারা নিয়মিত মাশোহারা পেয়ে থাকে বলে একাধিক সূত্র জানায়। বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়ুয়া উঠতি বয়সী তরুণ ও তরুণীরা এ মরণফাঁদে পা দিয়ে ব্যাক মেইলসহ হয়ে পড়ছে মাদকাসক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *