জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে এক গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ:

সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় প্রতিপক্ষ কর্তৃক এক গৃহবধূর প্রাচীর বেষ্টিত বসতবাড়ির মধ্যে ঢুকে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা ও মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শহরের পলাশপোল এলাকার মোঃ ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মোছাঃ রেহানা পারভীন।

লিখিত বক্তব্যে রেহানা পারভীন বলেন, ৯৪ নং পলাশপোল মৌজায় এস,এ ১০০৬ নং খতিয়ানের সাবেক ১১২৩৮ ও ১১২৩৬ এবং হাল ১৬৩১০/১৬৩৫৭ ও ১৬৩১০ দাগ ৯.১৪ শতক জমি ওয়ারেশ সূত্রে আমার পিতা মালিক। উক্ত সম্পত্তি থেকে বিভিন্ন দলিল বিক্রি বাদ ৪.৮৫ শতক জমি অবশিষ্ট থাকে। পরবর্তীতে আমার ছোট ফুফু মোছাঃ শাহিদা খাতুনের ওয়ারেশ সূত্রে পাওয়া ২.৩০ শতক জমি হেবা সূত্রে আমার পিতা প্রাপ্ত হন। বিক্রি বাদ পিতার অবশিষ্ট ৪.৮৫ শতক ও ফুফুর কাছ থেকে প্রাপ্ত ২.৩০ শতক মিলে মোট ৭.১৫ শতক জিমর মালিক হন আমার পিতা ইব্রাহীম হোসেন। পরবর্তীতে পিতার কাছ থেকে হেবা সূত্রে উক্ত সমুদয় সম্পত্তি আমি নিজে প্রাপ্ত হয়ে চারিদিকে প্রাচীর দিয়ে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পৌরকর পরিশোধ পূর্বক সেখানে গত ২০ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। আমার বড় ফুফু মোছাঃ রাশেদা খাতুন তার প্রাপ্য ২.৩০ শতক জমি পলাশপোল এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে মোঃ আব্দুস সালামের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি করে দখল ছেড়ে যান।

তিনি আরো বলেন, রেজিঃ দলিল ছাড়াই আব্দুস সালাম গত ২০ বছর ধরে ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বিগত ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবর বড় ফুফু রাশেদা খাতুন সহকারি পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) বরাবর পিতার নাম একটি অভিযোগ করেন। সহকারি পুলিশ সুপারের নির্দেশ মাপজরিপ করে দেখা যায় ফুফু রাশেদা খাতুনের দাবিকৃত জমি পার্শ্ববর্তী আব্দুস সালামের মধ্যে আছে।

 

বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য কাগজপত্র নিয়ে পুনরায় সবাইকে সাতক্ষীরা পৌরসভায় হাজির হতে নোটিশ দেয়া হলে আব্দুস সালাম নির্ধারিত দিন হাজির না হয় পাঁচবার সময় নেয়। পরবর্তীতে হাজির হয়ে তিনি একটি জাল দলিল ও একটি জাল মিউটশন উপস্হাপন করেন, যা সম্পূর্ন মিথ্য। পৌরসভায় উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমার প্রাপ্য ৭.১৫ শতক জমির মধ্যে আছে ৬.১০ শতক  এবং বড় ফুফুর অংশটি আব্দুস সালামের মধ্যে আছে মর্মে প্রতিবদন প্রদান করেন।

রেহানা পারভীন অভিযোগ করে বলেন, ফুফাতো ভাই পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল প্রতিবদনটি নিয়ে সহকারি পুলিশ সুপারের কাছে না দিয়ে সদর থানায় দিয়ে আমার পিতাকে ডাকান। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমরা থানায় গেলে গত ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী উভয় পক্ষের বসাবসির দিন ধার্য্য করা হয়।

 

কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় ১৫ ফেব্রুয়ারী পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুলের ইন্ধানে তার বড় ভাই আবুল বাসারের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া ১০/১২ জন লোক জোরপূর্বক তার বাড়ির মধ্যে ঢুকে প্রাচীর নির্মাণ ও দখলের চেষ্টা করে। আমরা বাধা দিলে আমাদেরকে জীবন নাশের হুমকি মিথ্য মামলার ভয়ভীতি দেখায়। তিনি উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *