শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মুখোশধারী দূর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের দু’নেতা গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কলারোয়া পৌরসভার পৃথক দু’টি স্হানে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, কলারোয়া পৌর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এখলেছুর রহমান শেলী ও ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহিনুর রহমান।
এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কলারোয়া থানা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এ ধরনের একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সাধারন মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আহতরা জানান, কলারোয়া বাজারে নিজ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন এখলেছুর রহমান শেলী। এ সময় অচেনা এক যুবক জরুরী প্রয়োজনের কথা বলে তাকে দাকোনের বাইরে আসতে অনুরোধ জানান। দোকানের বাইরে যাওয়া মাত্রই ওই যুবক কিল-থাপ্পড়-ঘুষি মারতে থাকে শেলীকে। এতে তিনি বাধা দিতে গেলে ও চিৎকার করলে আশপাশের দোকানদাররা ছুটে আসেন। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে ৫/৭টি মোটরসাইকল ১০/১২জন মানকি টুপি ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে শেলীকে। এ সময় তিনি ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তিরা সোনালী ব্যাংকের সামনে গিয়ে তাকে দ্বিতীয় দফায় পেটাতে থাকেন। পরে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে গেলে দুর্বত্তরা মোটরসাইকল যোগে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। কলারোয়া থানা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এ ধরনের একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সাধারনরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। গুরুতর আহতাবস্থায় শেলীকে কলারোয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে, কলারোয়া উপজেলা সদরের পলাশ সিনেমা হল মোড় এলাকায় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহিনকেও একই দুর্বত্তরা লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে তাকে আহত করে।
আহত এখলেছুর রহমান শেলী জানান, চিকিৎসার পরে একটু সুস্থ হলে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মারুফ আহম্মেদ জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।