প্রিতম মজুমদার, ইবি :
দীর্ঘ পথচলার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার চল্লিশতম বর্ষে পদার্পণ করেছে। বৃহস্পতিবার ঢাক ঢোল পিটিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
তারপর শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রা উব্ধোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা, পক্টর ড. মো: মাহাবুবুর রহমান ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে একত্রিত হয়।
মিলনায়তনে কেক কাটা হয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. রেজওয়ানুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশীদ আসকারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ক্যাম্পাস নবরুপে সেজেছে।
উল্লেখ্য ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার ২৪ কি.মি দক্ষিণে ও ঝিনাইদহ জেলার ২২ কি.মি. উত্তরে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ১৭৫ একর জমির নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ টি অনুষদের অধীনে ৩৩ টি বিভাগ পরিচালিত হচ্ছে। মোট ১২ হাজার ৮১২ জন শিক্ষার্থীর (ছাত্র ৮ হাজার ৬৪৭, ছাত্রী ৪ হাজার ১৬৫ জন ৩১তম ব্যাচ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত) জন্য রয়েছে ৮ টি আবাসিক হল। ছেলেদের জন্য রয়েছে ৫ টি আবাসিক হল আর মেয়েদের জন্য ৩টি। বর্তমান প্রশাসনের দক্ষ নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি আর্ন্তজাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিগত কয়েকটি শিক্ষাবর্ষে বেশ কিছু সংখ্যক বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।