নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২৮ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। সোমবার রাত পৌনে ৮টায় নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২’–এর আওতায় রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল, এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪। ২০০৯ সালে হাইকোর্টে দায়ের করা ৬৩০ নম্বর রিট পিটিশনের রায়ে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ এইচ ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হল।
নির্বাচন কমিশনের এই প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো জামায়াতের নির্বাচনী কার্যকলাপ। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধাদের দায়ে দণ্ডিত জামায়াত এখন কি করবে সেটাই দেখার বিষয়। এই প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে জাতি কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জামায়াত এখন বিএনপির কাঁধে ভর করে বিএনপির সাথে মিশে যাবে এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তাদের নেতারা নির্বাচনে যাবে। তাহলে কি শেষ পর্যন্ত ‘ধানের শীষে ভর করছে দাড়িপাল্লা? নাকি দাড়িপাল্লায় মিশে যাবে ধানের শীষ’ এটাই দেখার অপেক্ষায় জনতা।