সিলেটের পর এবার চট্টগ্রামেও: ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে পিছু ছাড়ছে না জামায়াত-শিবির

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সূচনালগ্ন থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হলেও সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এবার চট্টগ্রামে দ্বিতীয় সমাবেশেও চট্টগ্রাম জামায়াত-শিবিরের নেতাদের রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অন্তঃকোন্দলে বিভক্ত চট্টগ্রাম বিএনপির নগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ খান।

এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিলেট সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ নেতাদের রাখার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানা যায়, সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বিএনপি পুনরায় তাদের প্রতি নীরব সমর্থনের জানান দিতে চাইছে। কেননা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থী দেয়া না দেয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিলো তা কমিয়ে আনতে সমাবেশগুলোতে তাদের রাখা হচ্ছে। এমনকি জামায়াত-শিবিরকে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে রাখার পক্ষে পূর্ণ মত দিয়েছেন ড. কামাল। সংসদ নির্বাচনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলেই তাদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, চট্টগ্রাম জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির অধ্যাপক আহসান উল্লাহ সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ২৫ অক্টোবর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় তিনি উপস্থিত থাকতে পারছে না। তবে নগর জামায়াতের সাবেক আমির ও কেন্দ্রের নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, জামায়াতের মজলিশে শূরার সদস্য ও সাতকানিয়া এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, জামায়াতের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও নগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার উপস্থিত থাকার তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিএনপির অঙ্গসংগঠন হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো এবং এতে জনপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে চট্টগ্রাম বিএনপির নগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ খান বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনীতির মাঠে জামায়াতের বদনাম রয়েছে। আর তা দল-মত নির্বিশেষে মানুষ জানে। সুতরাং নির্বাচনকেন্দ্রীক বৃহৎ প্লাটফর্মে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে জামায়াতকে জড়ানো ঠিক হয়নি। এ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে যতটুকু প্রতিক্রিয়া দেখেছি তাতে এমন সিদ্ধান্ত ক্ষতির কারণ হবে বলেই আমার মনে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আজ (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের কাজির দেউরীর নাসিমন ভবনে জাতীয় ফ্রন্টের দ্বিতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৫ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সিএমপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *