সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে ১০দিন ব্যাপি উচ্চাঙ্গ সংগীত ও বাঁশীর কর্মশালা

শেখ আমিনুর হোসেন,সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় ১০দিন ব্যাপি উচ্চাঙ্গ সংগীত ও বাঁশীর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বর্ণমালা একাডেমির আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির চিত্রাশালায় বর্ণমালা একাডেমির পরিচালক শামীমা পারভীন রত্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, সাতক্ষীরায় এই প্রথম ব্যাতিক্রধর্মী বাঁশীর কর্মশালা। এটা আমাদের অতীত জীবনকে স্মরন করিয়ে দেয়। রাতের বেলায় বাঁশী বাদকদের বাঁশীর সুর বাতাসের সাথে যেন ঢেউয়ের মত ভেসে আসতো আমাদের কানে। এ সুর যেন তার মন থেকে উঠে আসে বাঁশীর সুরে। সেদিনটি আমরা হারিয়ে ফেলেছি। বর্ণমালার এই আয়োজন বাঁশী সুরের প্রেমীদের মনে জায়গা করে নেবে। ভারত ও নেপাল থেকে আসা প্রশিক্ষকদের মেধা ছড়িয়ে দেবে আমাদের এই প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে। আমরা আশা করি এ কর্মশালা সাংস্কৃতিক অঙ্গণকে আরো একধাপ এগিয়ে নেবে।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা শাখার সভাপতি আবু আফ্ফান রোজ বাবু, সহ-সভাপতি নাসরিন খান লিপি, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের রবীন্দ্র ভারতী উচ্চাঙ্গ সংগীতের ওস্তাদ জয়দ্বীপ চক্রবর্তী, নেপালের উচ্চাঙ্গ সংগীতের ওস্তাদ অন্দ্রন্দ্রে জাসওয়াল, ভারতের রবীন্দ্র ভারতী উচ্চাঙ্গ সংগীতের মিঃ ধ্রুব পিএইচডি বাঁশী, কণ্ঠশিল্পী মনজুরুল হক ও বর্ণমালা একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শিকদার প্রমুখ। ১০দিন ব্যাপি উচ্চাঙ্গ সংগীত ও বাঁশীর কর্মশালায় উচ্চাঙ্গ সংগীতে ৫০ জন এবং বাঁশীতে ২৫ অংশ নেয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বর্ণমালা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নাহিদা পারভীন পান্না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *