আবদুল্লাহ রিয়েল:-
ফেনী রাঝাজীর দীঘির বিত্তশালী ও সৌখিনদের বড়শি প্রতিযোগিতা রেখে যাওয়া চকিতে প্লাসটিকের চাউনি দিয়ে তৈরি শান্তার একাকী জীর্ণশীর্ণ সংসার।যেন পাখির বাসা।পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের কবিতা ‘আসমানী’র জীবনকে স্বরণ করিয়ে দেয়।সহায় সম্বলহীন ফেনীর শান্তা স্টারশীপ দুধের খালি পটের ভিতর গরম পানিতে ফুটিয়ে সিদ্ধ করে খাচ্ছে লতাপাতা।এই আধুনিক যুগেও সেই মান্দাতার আমলের কাহীনিটি বর্তমান ঘুনেধরা সমাজকে মনে করে দিচ্ছে।একেই বলে বিপন্ন মানবতা।
–আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।–
আসমানী কবিতাটি ১৯৪৯ সাল তার এক পয়সার বাশি কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়
জসীমউদ্দীনের কবিতা আসমানীকেও হার মানিয়েছে ফেনীর শান্তা
