‘বক্তব্য পরিবর্তন’ করার জেরেই পণ্ড হলো জাতীয় ঐক্য গঠন | বাংলারদর্পন 

নিউজ ডেস্ক : জাতীয় ঐক্য গঠনে জামায়াত প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ালেও একের পর এক নতুন নতুন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে ঐক্যে আসা দলগুলো। যদিও এরইমধ্যে বিবিধি হিসেব-নিকেশে জর্জরিত হয়ে পড়েছে সে স্বপ্ন। তবে জাতীয় ঐক্যের সুরাহা না হওয়ার পেছনে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঐক্য বিষয়ক যৌথ ঘোষণা পত্রের প্রাথমিক বক্তব্য গোপনে পরিবর্তন করা। এ নিয়ে জাতীয় ঐক্যে আসা দলগুলোর মধ্যে দানা বেঁধেছে বিরোধীতা ও সংশয়। সবদিক বিবেচনা করে এরইমধ্যে সরে গেছেন বি. চৌধুরী।

সূত্র বলছে, বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গঠন প্রক্রিয়ায় প্রধান দুটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের নানা কৌশল বিষয়ে অবগত হয়ে বি. চৌধুরী অসুস্থতার কথা বলে জাতীয় ঐক্যের কর্মসূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা বলেও পরবর্তীতে অনুষ্ঠানে জাননি। বিএনপি নেতারাও এ বিষয়ে কিছু কারণ উল্লেখ করেছে। তবে মূল সত্য উচ্চারণ করেননি জাতীয় ঐক্যে আসা কোনো নেতাই। এর মধ্যে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী আগেই বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য রেখে বিএনপির সঙ্গে কোনও ঐক্য করবে না যুক্তফ্রন্ট। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তৈরি হয়েছে নতুন আরও একটি সমস্যা। যৌথ ঘোষণার প্রাথমিক বক্তব্যে কৌশল এবং গোপনে একটি পরিবর্তন করা হয়।

সূত্র জানায়, ওইদিন দুপুরে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ের বৈঠকে চারজনের একটি টিম যৌথঘোষণার ড্রাফট চূড়ান্ত করে। ওই ঘোষণাপত্রের ভূমিকার একপর্যায়ে বলা হয়, ‘মুক্তিসংগ্রামের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, সমাজ শক্তি ও নাগরিক সমাজসহ জনগণকে সুসংগঠিত করে আমরা জাতীয় ঐক্যে যাব।’ সে দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে বিকল্প ধারার সভাপতি বি. চৌধুরীর প্রেস সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলমের মেইল থেকে ঘোষণাপত্রটি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে। তবে ওই লাইনটি পরিবর্তিত হয়, সেখানে লেখা হয়, ‘প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সকল স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে জাতীয় ঐক হবে।’ আর এখানেই চরমভাবে থমকে গেছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।

যুক্তফ্রন্টের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বি. চৌধুরীর না যাওয়া, বক্তব্যের রাতারাতি পরিবর্তন নিয় যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে জাতীয় ঐক্য আশা করা বৃথা। যদিও ঐক্য বিষয়ে সরব থাকতে ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সেখানে কী বক্তব্য আসা দরকার, এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে যুক্তফ্রন্টের নেতারা আলোচনা করবেন। তাতে কোনো বিশেষ বার্তা আসবে কিনা বলা মুশকিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *