পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির মহোৎসব | বাংলারদর্পন

নিউজ ডেস্ক :

দেশের পরিবহন খাতে এখন চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। এ চাঁদাবাজি চলছে সড়ক-মহাসড়কের সর্বত্র। বাঁশ ফেলে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিটি পরিবহন থেকে যে মোটা অংকের চাঁদা তোলা হচ্ছে, তা ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মধ্যে।

চাঁদার হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস, পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, মালবাহী লরি, মিনি ট্রাক, ম্যাক্সি, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক কোনো কিছুই বাদ যাচ্ছে না চাঁদাবাজির আওতা থেকে। বিভিন্ন সংগঠনের নামে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত তোলা হচ্ছে চাঁদা।

মহাসড়কগুলোয় চাঁদাবাজির সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্টতার বড় অভিযোগ রয়েছে। আসলে পরিবহন খাতের চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক বিশাল নেটওয়ার্ক। পুলিশ, মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো, স্থানীয় মাস্তান, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ, ফেরিঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রাফিক পুলিশ, যানজট নিরসন ও শ্রমিকদের কল্যাণ কমিটির কর্তাব্যক্তি- এদের সবাই জড়িত এ অপরাধের সঙ্গে।

চাঁদাবাজির ফলে পরিবহনের ভাড়া বেড়ে যায়। এর প্রভাব অবধারিতভাবে পণ্যমূল্যের ওপর পড়ে।

সারা দেশে বিআরটিএ থেকে নিবন্ধিত বিভিন্ন গাড়ির সংখ্যা ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৫। এর মধ্যে ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬টি প্রাইভেট কার, ৩৯ হাজার ১০৮ বাস, ৩৬ হাজার ৮৮ মিনিবাস, ৮৭ হাজার ১৮২ ট্রাক, ১ লাখ ৯১ হাজার ১৫৩ অটোরিকশা ও টেম্পো এবং ৯৪ হাজার ২৫৮টি জিপ, মাইক্রোবাস ও ওয়াগন রয়েছে। এর পাশাপাশি অনিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যাও প্রচুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *