কোটা আন্দোলনে নেতাদের অধিকাংশই শিবির | বাংলারদর্পন

নিউজ ডেস্ক :

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা বেশিরভাগ জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেছেন সচেতন মহল। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই আন্দোলন করছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা জানিয়েছেন আন্দোলনের পেছনে শিবিরের সংশ্লিষ্টতা থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে । তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই বলছি, যারা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের অধিকাংশই ছাত্রশিবিরের।’ শুরুর দিকে আন্দোলনের সাথে জড়িত একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন এ আন্দোলন শিবিরের আন্দোলন। প্রথম দিকে সাধারন শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দিলেও দিন বাড়ার সাথে সাথে শিবিরের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বুঝতে পেরে আন্দোলন থেকে সরে আসে শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ফেইসবুক ঘেটেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তারা বিভিন্ন সময়ে ফেইসবুক লাইভে এসে যে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন সেসব ভিডিও পর্যালোচনা করে জানা যায় ভিডিও গুলোতে সরকার উচ্ছেদের ঘোষনা ও প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে ।

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে বাংলাদেশে সবার আগে আন্দোলন শুরু করে শিবিরের অনুসারীরাই। ১৯৯৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদেরকে সুবিধা দেয়ার পরের বছরই এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে মাঠে নামে শিবিরের অনুসারীরা। তবে সে সময় তাদের কৌশল ধরা পড়ে যায়। এরপর নানা সময় একই দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমে ব্যর্থ হয়েছে শিবিরপন্থীরা। যদিও এবারের আন্দোলনে কোনো বিশেষ কোটার নাম উল্লেখ না করে মাঠে নামে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আবার পরিষদ কোনো কোটা বাতিলের দাবি না তুলে সব মিলিয়ে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে আসতে দাবি জানান। গত ফেব্রুয়ারিতে এই সংগঠনটি মাঠে নামার পর ৮ এপ্রিল রাতে ছাত্রদের সঙ্গে প্রথমে রাজধানীর শাহবাগ এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এরপর প্রথমে দেশের প্রায় সব কটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও আন্দোলন ছড়ায়। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভাষণে বলেন, ‘কোনো কোটা থাকার দরকার নেই।’ সেদিন প্রধানমন্ত্রী কোটা উঠে গেলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আর প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *