নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাত সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার। ২ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে সুপারিশসহ জমা দিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নির্দেশক্রমে জনপ্রশাসন বিভাগের সচিব ফয়েজ আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা/বাতিল অথবা সংস্কারের লক্ষ্যে সাত সদস্য বিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত প্রতিবেদনের উপরে ভিত্তি করে তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে। এছাড়া জনপ্রশাসন বিভাগের সচিব ফয়েজ আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব মনজুরুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে নিয়ে এ কমিটি গঠিত হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি) সালমা মাহমুদকে এ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বিষয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেন। এরপর প্রকৃত আন্দোলনকারীরা সরকারের তরফ থেকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা পেয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসে। কিন্তু রমজান, ঈদুল ফিতর ও কোটা সংস্কার বিষয়ে পর্যালোচনা ও সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের পদক্ষেপসহ বেশ কিছু জটিলতায় কিছুটা সময় অতিক্রান্ত হয়। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে শিবির-বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টায় পুনরায় আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোটা সংস্কার বিষয়ক কমিটি গঠন করায় তাদের সেই পরিকল্পনা ধুলিসাৎ হয়ে গেলো।