নতুন সেনাপ্রধান লে.জে. আজিজ আহমেদকে নিয়ে গুজব বৃত্তান্ত

নিউজ ডেস্ক :

বর্তমান সেনা প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক-এর মেয়াদ ২৫ শে জুন শেষ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬তম প্রধান হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন লে. জে. আজিজ আহমেদ। লে. জে. আজিজ আহমেদ এর আগে ২০০৯ সালে বিজিবিতে ঢাকা সেক্টরে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি নিয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১২ সালে তিনি বিজিবির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ২০১৬ সালে লে. জে. পদে পদোন্নতি পান। এরপর তিনি আর্টডকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে ৬ মাস আগে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। সে হিসেবে বিবেচনায় বলা যায় নিজ যোগ্যতা বলেই সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

কিন্তু তার এমন গৌরবোজ্জ্বল কর্মজীবনের ইতিহাস উপেক্ষা করে একটি চক্র তার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের ভাই হওয়াই যেন তাঁর সবচেয়ে বড় অপরাধ। ছোট বেলায় আমরা যেখানে শিখেছি অন্যায়কারীকে নয় অন্যায়কে ঘৃণা কর, তা কি আমাদের পুস্তকের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ থাকছে ? একজন অপরাধীর ভাই কি নিজ কর্ম ও গুণের দ্বারা তার প্রাপ্য আসন পেতে পারেনা ? তাকে কি তাঁর যোগ্যতার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করা যায়না ?

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে দেশের সম্মান রক্ষার্থে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছেন সেনাবাহিনীর এই অকুতোভয় কর্মকর্তা। বিজিবিকে আরো উন্নত ও চৌকষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে তার অবদান ছিল অপরিসীম। আর সেই ব্যক্তিটি সেনা প্রধানের দায়িত্বে অর্পিত হলে কিছু স্বার্থান্নেষী ও ষড়যন্ত্রকারী তাঁর যোগ্যতাকে ছোট করতে চাইছে। খোঁজ নিলে জানা যাবে এসব কুচক্রকারীরাই দেশবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত। দেশের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীতে যোগ্য ব্যক্তিকে অধিষ্ঠিত হতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই তারা ভীত সন্ত্রস্ত।

৫ ই ফেব্রুয়ারি হেফাজত ইসলামের আন্দোলনের বিরুদ্ধে তাঁর সম্পৃক্ত থাকার গুজব ছড়িয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁর যোগ্যতাকে আরো কঠোরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। যা কখনোই কোনো তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তারা প্রমান করতে পারবেনা।

তাই আসুন এইসব চক্রান্তকারীদের আসল উদ্দেশ্য জানতে সচেষ্ট হই এবং সচেতনতার সাথে এসব গুজবের মোকাবিলা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *