জহুর-উল-হক, লিসবন (পর্তুগাল) থেকে : ঈদ মোবারাক। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব। ১৫ই জুন, ২০১৮, শুক্রবার যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পর্তুগালে মুসলমানরা তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করছে।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কঠোর সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পবিত্র রমজানের এক মাস অতিক্রম করছে। এদিকে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে মাতৃমনিজ পার্কে বায়তুল মোকারম বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ও মাতৃম মনিজ জামে মসজিদ এর যৌথ উদ্দ্যোগে এক বিশাল ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পর্তুগালের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে ছুটে আসেন এই মাতৃমনিজ পার্কে ।
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে পর্তুগাল বাসীর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, আজকের এই দিনে সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি, সমাজে সৃষ্টি হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন। ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এই উৎসব সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধনকে আরও সুসংহত করবে এই প্রত্যাশা করে সকলকে ঈদ মোবারক জানান।
স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় । এই ঈদ জামাতে ইমামতি করান বাইতুল মোকারম মসজিদ এর খতিব মাওলানা আবু সাইদ। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয় । বাংলাদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের ও এই ঈদ জামাতে নামাজ পড়তে দেখা যায় ।
আনন্দ মুখর পরিবেশে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন সহ পর্তুগালের বিভিন্ন শহরে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পর্তুগালের প্রবাসী বাংলাদেশীদের বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় লিসবনের মাতৃম মনিজ পার্কে। তাছাড়াও লিসবন সেন্ট্রাল জামে মসজিদে দুইটি, ওধিবিলাস ঈদগাঁও একটি, ওধিবিলাস জামে মসজিদে দুইটি, আমাদোরার জামে মসজিদে একটি, রিবাইরালো বাংলাদেশী জামে মসজিদে একটি, লংগাইরা-আলমোগরাভ একটি, আলগ্রাবে বাঙ্গালী অধ্যুষিত এলাকায় একটি, কাসকাইস বাংলাদেশী জামে মসজিদে একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়, বন্দর নগরী পোর্তোর বাঙ্গালী অধ্যুষিত রুয়া দে লউরেইরোর হযরত হামজা (রঃ) মসজিদে ও (মেট্রো সা বেন্তো) দুইটি ঈদের জামাত, মিনদেলো পাইকারী বাজার মসজিদে একটি, কোইমব্রা জামে মসজিদে একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত ঈদকে কেন্দ্র করে নামাজে যে গণজমায়েত হয়, তা প্রবাসি বাংলাদেশিদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। নামাজ শেষে কুলাকুলি, কুশল বিনিময়, বাসায় বাসায় সেমাই ফিন্নি পোলাও মাংস তৈরি, বাঙালিয়ানা পোশাকে আনন্দ উৎসবে মাতোয়ারা থাকে বাঙালি পাড়া।