মিথ্যাচারের সীমা অতিক্রম করেছে বিএনপি | বাংলারদর্পন 

নিউজ ডেস্ক: ঈদের আগে কোনো ইস্যু তৈরি করতে না পেরে মিথ্যাচারের সীমা অতিক্রম করছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপি এলোমেলো কথা বলে ইতোমধ্যেই পাগলের কাতারে পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে করেন অনেক মুক্তিযোদ্ধা। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে ধৃষ্টতা লক্ষ্য করা গেছে।

সূত্র বলছে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে তারা এখন বলে বেড়াচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেও মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মতে, মিথ্যাচারের একটা সীমা থাকা উচিত। বিএনপি সেই সীমা অতিক্রম করেছে।

ইতোমধ্যে বিএনপি সমর্থিত আর রাজাকার দ্বারা প্রলুব্ধ ‘আমার দেশ’ প্রত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলেই অনেকে মনে করেন।

সর্বশেষ জানা যায়, রাজাকার সমর্থক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, তেমনি অনেক মুক্তিযোদ্ধাও রাজাকারদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে যেমন করে রাজাকারের বিচার করা হচ্ছে, তেমনি ভবিষ্যতে মুক্তিযোদ্ধাদেরও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে।’

এ প্রসঙ্গে রাজধানী মিরপুরের একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বলেন, স্বাধীন দেশে থেকে মাহমুদুর রহমান এমন মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখাতে পারে না। মাহমুদুর রহমান বিএনপির মতো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। সে বিদেশি এজেন্ট। পাকিস্তানের দালাল।

মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত রাজাকারদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধের দাবি জানান। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে হত্যার গুজব ছড়িয়ে উসকানি দিয়ে দেশে অরাজকতা, নাশকতা, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; জামায়াত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তির সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ করা এবং এ ধরনের যেসব ব্যক্তি বর্তমানে সরকারি চাকরিতে বহাল, তাদের চিহ্নিত করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা; যুদ্ধাপরাধীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা; ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতাকারীদের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুন্নকারী এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের ‘হলোকাস্ট বা জেনোসাইড ডিনায়েল ল’-এর আদলে আইন প্রণয়ন করে বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযোদ্ধাদের মতে, বিএনপির মিথ্যাচারের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যেন সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল হলেও জামায়াত-রাজাকারদের সন্তানরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ না পায়। কেননা, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের সন্তানরা সরকারি চাকরি পেলে আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। দেশপ্রেমহীন মেধা দেশের কোনো কল্যাণে আসে না, এ কারণে মেধাবী হলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াত-রাজাকার আর আল-শামসদের সন্তানরা যেন সরকারি চাকরিতে ঢুকতে না পারে, এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *