নিউজ ডেস্ক : আজ শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেছেন। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তুলে ধরেছে শান্তিনিকেতনে নির্মিত বাংলাদেশ ভবন।
বিশ্বভারতীতে পূর্বপল্লির ইন্দিরা গান্ধী সেন্টারের কাছে প্রায় আড়াই বিঘা জমির ওপর বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ভবন। বাংলাদেশ নিয়ে চর্চা ও গবেষণার সব ব্যবস্থা থাকবে এই ভবনে। ভবনে রয়েছে জাদুঘর, গ্রন্থাগার, অত্যাধুনিক মিলনায়তন, সেমিনার হল, ফ্যাকাল্টি কক্ষ, অধ্যয়নকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া।
পুরো ভবনকে এরই মধ্যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আবহের সঙ্গে মিল রেখে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এর প্রবেশপথের দুপাশে থাকছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি ছবি।
কবিগুরুর স্মৃতিবাহী সামগ্রী ও স্মারক দিয়ে বাংলাদেশ ভবনের জাদুঘর সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে যাঁরা এখানে গবেষণা করতে চান, তাঁদের জন্যও সমৃদ্ধ করা হয়েছে ভবনের গ্রন্থাগার। আজই বাংলাদেশ ভবন আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের হাতে।
বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনের পূর্বে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশ দু’টি আলাদা দেশ হলেও আমাদের আগ্রহের জায়গা এক। আমরা একে অন্যের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এর একটি অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশ ভবন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি আরো বলেন, আমরা এখানে এবং দেশের যে কোনো স্থানে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এবং ভারতের উষ্ণ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে ২৫ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ভবন।
আজ শুক্রবার সকালে মোদি সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সফরসঙ্গীদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।