বাসাবাড়িতে আর গ্যাস সংযোগ নয় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | বাংলারদর্পন 

নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাসাবাড়িতে সরকার আর কোনো গ্যাস সংযোগ দেবে না। এটা ফাইনাল। এখন সরকারি যত ফ্ল্যাট আছে সেখানে এলপিজি স্টোরেজ বানানো হবে। সেখান থেকে লাইন দেয়া হবে। বাসাবাড়িতেও এই পদ্ধতি চালু হবে।

প্রধানমন্ত্রী রোববার জাতীয় সংসদে সংসদ কমিশনের বৈঠকে একথা বলেন। সংসদ কমিশন বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁযে নবনির্মিত আবাসিক কমপ্লেক্স ৪৪৮ ফ্ল্যাটে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি উত্থাপতি হলে প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়ে একথা বলেন।

কমিশন বৈঠকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় সংসদের জন্য ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ লাইব্রেরিকে আরো সমৃদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় বই ও বিদেশী সংসদের নথি সংগ্রহে উদ্যোগ নিতে বলেছেন।

কমিশনের চেয়ারম্যান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ অংশগ্রহণ করেন। সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে যোগ দেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদে সংশ্লিষ্টদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিবছরই কমিশন বৈঠকে বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের নতুন পদ সৃষ্টি, প্রকল্প প্রণয়নসহ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবারো জাতীয় সংসদের জন্য ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি অন্যান্য প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বৈঠক শেষে স্পিকার সাংবাদিকদের জানান, কমিশন বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে অধিবেশন চলাকালীন সময়ে অতিরিক্ত খাটুনি ভাতা ৪৫০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা, অধিবেশন না থাকাকালীন ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৩৫০ টাকা এবং অধিবেশন থাকাকালীন দুপুরের খাবার/ইফতারের জন্য ১৫০ টাকার বদলে ২০০ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়া সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আপ্যায়ন খরচ ৫০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতি বিষয়ে সুনির্দ্দিষ্ট ও সমন্বিত প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে সংসদীয় কার্যক্রমকে গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *