নিউজ ডেস্ক: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, জনগণকে বোঝাতে হবে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্মীয় অনুশাসনের কারণে অনেক সময় নারীরা পিছিয়ে পড়ে। সে সকল প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে শেখ হাসিনা নারী জাগরণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। পিছিয়ে নেই নারীরা, বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নারীদের জয়জয়কার অবস্থা।
ঝালকাঠির একটি কমিউনিটি সেন্টারে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূলের ভাবনা এবং দলীয় গণতান্ত্রিক চর্চা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ একটি দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে মন্তব্য করে আমির হোসেন আমু বলেন, যারা তাদের প্রশ্রয় দেয়, তাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য করা সম্ভব নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে যেভাবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে কারা অংশ নিবে আর না নেবে, সেটা তাদের বিষয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগে তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র চর্চা হয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে উপমহাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি গণতান্ত্রিক দল। যারা গণতন্ত্র ও সংবিধান মানে না তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপোষ করা হবে না। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে হলে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। যোগ্যতার মাপকাঠিতে যারা এগিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়। রাজনীতির প্রতি যাদের শ্রদ্ধা নেই, তাদের প্রতি আওয়ামী লীগেরও কোনো আস্থা নেই।
তিনি বলেন, দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দেখে অনেকেই ঈর্ষান্নিত। তারা দেশের ভাল দেখতে পারে না। তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুন কর্মকার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন মল্লিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমানসহ দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।