চট্টগ্রাম ব্যুরো :
চট্টগ্রামে মহানগর ছাত্রলীগের “শিক্ষা অধিকার নিশ্চিতের আন্দোলন” সাধারণ জনগণের মাঝে প্রচুর সাড়া ফেলেছে, তাদের এই আন্দোলনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিভাবকরা।
জাতীয় শিক্ষা নীতির আলোকে নগরীর শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে শিক্ষানীতির তোয়াক্কা না করে পরিচালিত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলনের সুফল পেতে শুরু করেছে নগরবাসী।
বছরের শুরুতে “অতিরিক্ত ভর্তি আদায়ের” বিরুদ্ধে নগর ছাত্রলীগের ফলপ্রসূ আন্দোলনের কারণে অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানই আদায়কৃত বর্ধিত অর্থ ফেরত দেই শিক্ষার্থীদের। এছাড়া সদ্য সমাপ্ত এস এস সি পরীক্ষার রেজিস্ট্ররেশনের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেক অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করে, তাদের সেই আন্দোলনের মুখে পড়ে নগরীর বেশ-কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেই।
নগরীতে বছরের পর বছর শিক্ষার নামে বাণিজ্য করে আসছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন, এডমিট কার্ড আটকে অভিভাবকদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
নগরীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এমন অসহায়ত্ব দেখার কেউ ছিলো না, অভিভাবকরাও সন্তানের শিক্ষা জীবন ধ্বংসের ভয়ে নীরব থেকেছেন।
তবে নগরীর শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ, বিগত কয়েকবছর ধরে নগরীতে মহামারি আকার ধারণ করা শিক্ষা বাণিজ্যের প্রতিবাদে তাদের সরব ভূমিকা ইতিমধ্যেই নগরবাসীর জীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নগর ছাত্রলীগ এর আন্দোলনের ফলে নগরীর চকবাজারের একটি বাণিজ্যিক ভবনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা “চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ” কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত প্রায় ৪৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে অভিভাবকদের।
প্রথমে টাকা ফেরত না দিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হেনস্তা করে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও প্রিন্সিপাল জাহেদ হোসেন, বিষয়টি জানাজানি হলে নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক পুলিশসহ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিভাবকদের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে নিজেকে ডক্টরেট দাবী করা জাহেদ হোসেন এর পিএইচডি ভূয়া, শিক্ষা অধিদপ্তর এক গেজেট এর মাধ্যমে জানিয়েছে যে, তিনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচিডি করেছেন বলে দাবী করছেন তা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত না, সুতরাং তার ডিগ্রীটি অবৈধ।
মহানগর ছাত্রলীগের এমন ইতিবাচক রাজনীতি প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বমহলে, নুরুল আজিম রনি’কে দেখা হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” এর হারানো ঐতিহ্য ও জনমনে ছাত্রলীগের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার পথিকৃৎ হিসেবে।