ওমর ফারুক :
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অর্পেনেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে চট্টগ্রাম শহরের ২০টি স্পটে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামীলীগ। জনগণের জানমাল রক্ষার্থে আাইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা কাজ করে যাবে। যেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে সেখানে তা প্রতিহত করা হবে।অন্যদিকে আওয়ামীলীগের অন্যান্য শরীক দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান করবে দোস্ত বিল্ডিং চত্বরে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় রেয়াজউদ্দীন বাজার দারুল ফজল মার্কেটস্থ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ১৪ দলের এক নীতি নির্ধারনী সভায় এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ও জাতীয় পার্টি – JP চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোঃ আজাদ দোভাষের সন্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন,সাম্যবাদী দলের অমুল্য বড়ুয়া,গণ মাওলানা নুরুল ইসলাম আশরাফী,তরীকত ফেডারেশনের কাজী মোর্শেদ কাদেরী, জাসদের জসিম উদ্দীন বাবু। বক্তাগন ১৪ দলের নেতৃত্বে যে কোন পরিস্থিতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে গত ৬ই ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল আজম রনি ৮ই ফেব্রুয়ারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন।কর্ণেল হাট,মুরাদপুর এবং পুরাতন রেল ষ্টেশন এই তিনটি স্থানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান করবে বলে জানা গেছে।তা ছাড়া এস এস সি পরীক্ষার যাতে কোন বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রেও থাকবে ছাত্রলীগ কর্মীদের অবস্থান।
এদিকে আজ দিনভর চট্টগ্রাম মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন তত্পরতা দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে চেক পোষ্ট বসিয়ে তল্লাসী করতে দেখাগেছে।আবার সন্ধ্যার একটু আগে গাড়ির বিশাল বহর নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়।
তবে বি এন পি খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে বিভিন্ন বিবৃতি প্রদান ও কর্মসুচীর কথা বলে আসলেও আগামী কালকের কর্মসুচীর সমর্থনে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোন তত্পরতা দেখা যায়নি।