ডেস্ক রিপোর্ট :
০৯ জানুয়ারি ২০১৮।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত বিএনপি। এরই মধ্যে দলীয় প্রার্থী বাছাই, ইশতেহার তৈরি ও নির্বাচনকেন্দ্রিক সাংগঠনিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে দলটি। তবে নির্বাচনের মাঠ সবার জন্য সমান থাকবে কি না, তা নিয়ে দলটির নীতিনির্ধারকদের শঙ্কা রয়েছে।
দলটির উচ্চপর্যায়ের একজন নেতা বলেন, ‘মাঠে সমান সুযোগ পেলে ক্ষমতাসীনেরা যত কৌশলই নিক, খেলার জন্য প্রস্তুত আছে বিএনপি।’
বিএনপির সূত্র জানায়, শক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় বাছাইয়ের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে ৭৭টি সাংগঠনিক দল মাঠপর্যায়ে সফর ও কর্মিসভা করেছে।
এই সফরে মূলত তিনটি বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এক. আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি। দুই. স্থানীয়ভাবে বিবাদ মিটিয়ে নেতাদের মিলমিশ করিয়ে দেওয়া। তিন. প্রয়োজনে আন্দোলনে নামার জন্য দলকে প্রস্তুত করা। এ ক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন দুটি দুর্নীতির মামলার রায়-পরবর্তী করণীয় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ গত শনিবার রংপুরে কর্মিসভা করে ঢাকায় ফেরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন-আন্দোলন দুটোরই প্রস্তুতি নিচ্ছি। নেতা-কর্মীরাও কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে জনগণ থেকেও প্রচুর সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’
মাঠপর্যায়ে সফরকারী একাধিক দায়িত্বশীল নেতা বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সরকার নানা লোভ ও টোপ দিয়ে বিএনপিতে বিভেদ তৈরি করতে পারে। এ আশঙ্কা থেকে নেতা-কর্মীদের যেকোনো পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এই মুহূর্তে বিএনপির দুশ্চিন্তার একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে করা দুটি মামলার বিচারকাজ। এ কারণে দলের অনেক কর্মসূচিতে নেতারা মনোযোগ দিতে পারছেন না। আগে সিদ্ধান্ত ছিল, ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বড় জনসভা করার। খালেদা জিয়ার মামলার বিচারকাজের কারণে তা পিছিয়ে গেছে। এ মামলার বিচারকাজ যে গতিতে এগোচ্ছে, এটাকে বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র মনে করছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এখন শুনছি বেগম খালেদা জিয়ার আরও কয়েকটি মামলা বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করেছে। এগুলো সরকারের দুরভিসন্ধি।’ তিনি বলেন, বিএনপিকে আদালতের বারান্দায় রেখে আবার একতরফা নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের জন্য শুভ হবে না।