টেশিস ব্যর্থ হবে না : মোস্তাফা জাব্বার > বাংলারদর্পন

 

ডেস্ক রিপোর্ট : টেলিফন শিল্প সংস্থা টেশিসকে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের বাজারে সফল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে চান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে বিসিসি টাওয়ারে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে ৯৪টি পণ্যের- যেখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ছিলো, তা এই বাজেটে ১ শতাংশে নিয়ে এসেছে । এই শুল্ক হ্রাস করার সুবিধা হিসেবে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য বাজারে এসেছে। দেশে স্মার্টফোন তৈরির কারখানা হয়েছে, মাদারবোর্ড তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কম্পিউটার উৎপাদনের কারখানা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কারণ দেখি না কেনো টেলিফোন শিল্প সংস্থা এই সুযোগটা নিতে পারবে না। আমার মনে আছে, সেই সময়ে জুনাইদ আহমেদ একদম স্পষ্ট করে বলেছিলেন- আপনি টেশিসে প্রবেশ করেন, আমি এটিকে হাইটেক পার্কের মর্যাদা দিয়ে দেবো। যাতে এটি সকল সুযোগ-সুবিধা পায় সেটি করবো। আমি সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবো, যেন এটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান হবে না।

২০১৫ সালের আগস্টে দোয়েল ল্যাপটপ প্রকল্পসহ দেশীয় ডিজিটাল ডিভাইস তৈরির উদ্যোগের ব্যর্থতা কাটাতে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারকে টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত নানা কারণে তা হয়নি।

আর বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী আরও বড় দায়িত্ব দেয়ার কথা বলেছিলেন- এই স্মৃতিচারণ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিছু ভুলে যান না।

মন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এদিন প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ যান মোস্তাফা জব্বার। তাঁকে স্বাগত জানান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কতগুলো সংস্থা আছে। এগুলোকে সক্রিয় কিংবা লাভজনক কিংবা যে জায়গায় এটি স্থাপন করা করলে জনগণের সেবা পাবে সেখানে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো খুঁজে বের করা দরকার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মধ্যে কেনো বিরোধ নেই, বিরোধ থাকার কোনো কারণও নেই। দুটি বিভাগ দুটি হাতের মতো, দুটি চোখের মতো। একসঙ্গে না হলে কাজ করা কঠিন হবে-উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *