বাংলারদর্পন ডেস্কঃ
নয় জেলায় গতকাল সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৩১২ দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল অন্তত ২ হাজার ৬৪৬।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ভান্ডারির ডেবা এলাকায় মাইক্রোবাসের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত দুজন হলেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার আলামিয়া সওদাগর বাড়ির ইদ্রিস আলীর ছেলে আরমান হোসেন (৩৬)। তিনি মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। অপরজন মাইক্রোবাসের চালক চকরিয়া উপজেলার বৈরাগীরখিল শাহেদুল ইসলাম (৩৬)।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাটে সকালে লরিচাপায় ফরিদ আহম্মেদ (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের দবিরগঞ্জ এলাকায় দেশ ট্রাভেলসের একটি কোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক দম্পতি নিহত হন। নিহত দম্পতি হলেন রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের আবদুস সাত্তার (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী মালেকা বেগম (৬৫)।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় সকালে ভটভটি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের আরোহী রাশিদুল ইসলাম (২৮) নিহত হন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ-ফরিদপুর এলাকায় ট্রাকচাপায় হাসিবুল ইসলাম (১২) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়। সুলতানগঞ্জ গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে হাসিবুল ইসলাম সুলতানগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। বগুড়ার আদমদীঘির শালগ্রামের ঈদগাহ মাঠ নামক স্থানে সকালে একটি ভ্যান উল্টে গিয়ে চালক মাসুদ রানা (৩৫) নিহত হন। তিনি শালগ্রামের সরোয়ার আলীর ছেলে।
নাটোরের বড়াইগ্রামে সকালে ট্যাংকলরির চাপায় আকাশ আহম্মেদ (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার নগর ইউনিয়নের দারিখৈর গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে আকাশ বনপাড়া সেন্ট যোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেড এলাকায় দুপুরে অটোরিকশা উল্টে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তি নিহত হন। তাঁর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার তালতলায় গতকাল বিকেলে হিউম্যান হলারের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় খালেক জমাদ্দার (৭৫) নামে হিউম্যান হলারের এক যাত্রী নিহত হন। তাঁর বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বারভাগ গ্রামে।