যশোর | ২৩ নভেম্বর ২০১৭।
যশোরে সাংবাদিক আনন্দ দাস (৪৮) সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া বর্মণপাড়ায় বিল হরিণার পাশে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।
আনন্দ দাস যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদিনের কথার অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর। তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামের শিবপদ দাসের ছেলে। যশোর শহরের ষষ্ঠিতলাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন তিনি। আনন্দ দাসকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আনন্দ দাস জানান, সন্ধ্যায় তিনি চাঁচড়া বর্মণপাড়ার মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত তিনজন দুর্বৃত্ত তাঁকে ধরে পাশের বিল হরিণা কাছে নিয়ে যায়। এরপর তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর দুই পায়ের গোড়ালি, হাতের কবজি ও গলায় আঘাত করে। এরপর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তবে কী কারণে কারা তাঁকে জখম করেছে, তা তিনি বলতে পারেননি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাবিবুর রহমান জানান, ‘আনন্দ দাসের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর জন্য রক্তের প্রয়োজন।’
আনন্দ দাসের স্ত্রী সুস্মিতা দাস জানান, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে অফিসে গিয়েছিলেন। দুপুরে খাবার আগে তাঁকে ফোন করলে জানান বাইরে আছেন, ফিরতে দেরি হবে। এরপর বিকেল থেকে ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। বারবার ফোন বাজছিল। কিন্তু কেউ রিসিভ করছিল না। সন্ধ্যার দিকে একজন ফোন রিসিভ করে আমার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার পর তিনি জানান, মাছের ঘেরের মধ্যে আনন্দ পড়ে আছেন। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আনন্দ দাসের গলা, ডান হাত ও ডান পায়ে কুপিয়েছে। সন্ত্রাসীরা সম্ভবত তাঁর পায়ের রগ কাটতে চেয়েছিল। তিনি কাউকে চিনতে পারেননি। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’