চাচির পরকীয়া দেখে ফেলায় কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা !

বাংলার দর্পন ডটকম :

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৭।

নরসিংদীর শিবপুরে চাচি বিউটি বেগমের পরকীয়া দেখে ফেলায় পরিকল্পিতভাবে মোবাইল চুরির অপবাদ দিযে কিশোরী আজিজা বেগমকে (১২) হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার রাত ১১টায় শিবপুর থানায় বিউটিকে প্রধান আসামি করে সাত জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করেছেন নিহত কিশোরীর বাবা আবদুস সাত্তার।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিউটির মা সানোয়ারা বেগম, চাচাতো ভাই রুবেল ও ফুফুশাশুড়ি তমুজা বেগম। বাকি তিন আসামির পরিচয় অজ্ঞাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন শিবপুর থানার ওসি সৈয়দ-উদ-জামান।

নিহত কিশোরী আজিজা বেগমের বাড়ি শিবপুরের বাঘাবো ইউনিয়নের খইনকুট গ্রামে। তার বাবা স্থানীয় একটি পোলট্রি ফার্মে কাজ করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিউটির স্বামী সালাম মিয়া তিন মাস আগে মালয়েশিয়া যান। এরপর বিউটি এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি কিশোরী আজিজা তার চাচির পরকীয়ার ঘটনা দেখে ফেলে।

এ জন্য বেশ কিছুদিন ধরে আজিজাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বিউটি। এ জন্য তিনি তার চাচাতো ভাই রুবেল, মা সানোয়ারা বেগম ও ফুফুশাশুড়ি তমুজা বেগমকে ডেকে আনেন বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

এতে আরও বলা হয়, পরে মোবাইল ফোন চুরির নাটক সাজিয়ে আজিজা সেটি চুরি করেছে বলে অপবাদ দেয়া হয়। এরপর শুক্রবার বিউটিকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করেন।

শুক্রবার রাতে খইনকুট গ্রামে আজিজার হাত-পা বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলে তার শরীরের ৯৬ শতাংশ পুড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হলে শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

বাবা আবদুস সাত্তার জানান, আজিজাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তাকে হত্যার ঘটনার বিবরণ জানিয়েছে গেছে।

তিনি বলেন, আজিজা বলেছে বাবা, খুব ব্যথা। অসহ্য যন্ত্রণা। আমি তো চুরি করি নাই। চাচি, চাচির ভাইসহ চারজন আমার মুখ ও হাত বাইন্ধ্যা হেঁচড়াইয়া নিয়া যায়। এরপর কেরোসিন ঢাইল্যা আগুন ধরাইয়া দেয়। বাবা আমি তো কোনো দোষ করি নাই। আমি তো মোবাইল চুরি করি নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *