বাংলার দর্পন ডটকম :
বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের ব্যাপক বিদ্যুতায়নের মত সফল ও কার্য্যকরী বিষয়কে বিতর্কিত করে ফেলেছে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী এবং অসতর্ক রাজনৈতিক নেতা।
বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি, জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন বৃদ্ধি ও ব্যাপক হারে বিদ্যুতায়নের কারনে সর্বমহলে সরকার প্রশংসিত হয়েছে সরকার।
ব্যাতিক্রম শুধু ফেনীর সোনাগাজী।
জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুতের ঘাটতি খুব সীমিত হলেও অজ্ঞাত কারনে সোনাগাজীতে ব্যাপক লোডশোডিং শুরু করে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। ঈদের সময় মিল কারখানা মার্কেট ইত্যাদি বন্ধ থাকলেও বেঁচে যাওয়া বিদ্যুতের সুবিধা পায়নি অবহেলিত সোনাগাজী বাসী।
ঈদের আগের দিন রাতে ৬বার ও ঈদের দিন রাতে ৪বার লোডশেডিং হয়েছিলো সোনাগাজীতে।
দেশেতো বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে, বিদ্যুতের ঘাটতি নেই বললেই চলে, তবে সোনাগাজীতে বিদ্যুতের এই লুকোচুরির পিছনে কি কোন অসৎ পরিকল্পনা রয়েছে ?
উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবেই লোডশোডিং করা হচ্ছে সোনাগাজীতে ?
জনগনকে ভোগান্তি দেয়ার বিরক্ত করার যত কৌশল আছে তার ষোলকলা পূর্ণ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ দেয়া হলে যদি ৫মিনিট পর আবার চলে যায় তবে ভোগান্তির কি আর শেষ থাকে?
প্রতিদিন ৫মিনিট দশ মিনিটের লোডশোডিং হয় সাত আট বার। রাতের দুইটা তিনটায়ও লোডশোডিং চলে,একটু বৃষ্টি হলে বা আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে অযুহাত দেখিয়ে লাইন বন্ধ করে পেলে রাখে ঘন্টার পর ঘন্টা।
বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের এসব অনিয়ম দেখার কেউ নেই, প্রতিবাদ করার ও কেউ নেই।
আমি সোনাগাজী পৌর এলাকার বাসিন্দা, পৌর এলাকার ভিআইপি লাইনে আজ ৮/৯ বার লোডশোডিং হয়েছে, বিদ্যুতের এই ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার মধ্যে আজ সোনাগাজী উপজেলার মজলিশপুর ও বগাদানা ইউনিয়ন কে আনুষ্ঠানিক ভাবে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে।
শতভাগ বিদ্যুতায়ন কি?
এই বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দেয়নি কিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। খুঁটি পুতে তার টেনে দিলেই বুজি শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়ে যায়?
লাইনে বিদ্যুৎ দেয়া লাগেনা? জনগন দিনে ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ যেখানে পাচ্ছেনা সেখানে শতভাগ বিদ্যুতায়নের অনুষ্ঠানিকতা প্রহসন ছাড়া আর কি ?
একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে বিদ্যুৎ বিতরনে সোনাগাজীর প্রতি এমন বিমাতা সূলভ আচরণ কারা করছে তা তদন্ত করে সোনাগাজী বাসীকে এমন লোডশোডিং থেকে মুক্তি দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
।।এস এন আবছার সোহাগ।।- লেখক ও মানবাধিকার সংগঠক।