ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীতে চিংড়ির জেলী প্রতারণার ধরন পরিবর্তন হয়েছে। এখন চিংড়ির পেট ও পিঠের ভিতরে বিষাক্ত জেলী ঢুকিয়ে ভয়াবহ প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে মৎস ব্যবসায়ীরা।এর আগে চিংড়ি মাছের কানকো (গিল) খুললে দেখা যেত বিষাক্ত জেলী। ৫ জুন সোমবার ভোর ছয়টায় ফেনীর সর্ববৃহৎ মাছের আড়ত- পৌর মাছের আড়তে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টের অভিযানে বেরিয়ে আসে এসব অভিনব প্রতারণার চিত্র। জেলীতে সয়লাব চিংড়ির ভেতরের অংশ। জেলীর কারণে ৮০০-৮৫০গ্রাম চিংড়ির ওজন হয়ে যাচ্ছে ১ কেজি। রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।
এ সময় শাহজালাল মাছের আড়তের মালিক মো: জালালকে জেলীযুক্ত চিংড়ি বিক্রির অপরাধে ৫০,০০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে আদালত। অভিযানে আড়াই মণ জেলীমিশ্রিত চিংড়ি জব্দ করা হয়। পরে মৎস্য ব্যবসায়ী ও উপস্থিত উৎসুক জনতার সামনে এগুলো ধ্বংস করা হয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা জানান, এই আড়তে- বাংলাদেশ ফিশিং, জননী ফিশিং, বারো আউলিয়া ফিশিং, আদর্শ ফিশিং, শাহজালাল ফিশিংসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই ভয়াবহ প্রতারণার সাথে জড়িত। এখন তারা ধরণ পরিবর্তন করে ভিন্নভাবে ধোঁকা দিচ্ছে ক্রেতাদের। রমযানজুড়ে জেলা প্রশাসন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতায়। এ ধরণের অভিযান পুরো রমজানজুড়ে অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তবা জামান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।