ঢাকা : ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় নেতা-কর্মীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রধান অতিথির বক্তব্য না দিয়ে হল ছাড়তে হয়েছে। মঞ্চ ত্যাগ করেন অামান উল্যাহ অামানও।
রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের আইইবি মিলনায়তনে রবিবার বিকেলে ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা-২০১৭-এর অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্য দেওয়ার পর অনুষ্ঠান সঞ্চালক ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের দেওয়া বক্তব্যের জের ধরে প্রথমে হাতাহাতি পরে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ সময় দেখা যায় মঞ্চের সামনে বসে থাকা নেতা-কর্মীরা পানির বোতল ছুড়ে মারছেন মঞ্চের দিকে। এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, এ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা।
দুই দফায় হাতাহাতি ও মারামারির পর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বের হয়ে যান। এর পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বের হয়ে যান। শেষে আমান উল্লাহ আমান বের হতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন। পরে মিলনায়তনের ফিরে এসে খানিক সময় অপেক্ষা করে পরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। তিনি যখন মিলনায়তনের ভিতরে অবস্থান করছিলেন তখন বাইরে নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই হামলা ও পাল্টা হামলায় লিপ্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, মারামারি হয় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের সমর্থকদের মধ্যে। তারা দুজনই কেরানীগঞ্জের নেতা।
অনুষ্ঠান চলাকালে মিলনায়তনের ভিতর দেখা যায়, নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা নেই। প্রচুর নেতা-কর্মী মিলনায়তনের ভিতর প্রবেশ করেছে। এসময় তারা মঞ্চের চার দিকে দিয়ে দাড়ানোয় মিলনায়তনের ভিতর ঢুকেও মঞ্চে বসা কাউকেই দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি সাংবাদিকদের জন্য বসার নির্ধারিত জায়গাও বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা দখল করেন। ফলে উপস্থিত সাংবাদিকদের পিছনে গিয়ে বসতে হয় এবং পেশাগত কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়।