ফেনী :
বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই তৃতীয় ধাপে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভুঞা উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একতরফা এ নির্বাচনে দু-একটি কেন্দ্র ছাড়া সব কেন্দ্রগুলো দিনভর ভোটার শুন্য ছিল। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এ তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী দেয়ায় কেন্দ্রে যায়নি ভোটার বলে দাবি তৃণমূল আওয়ামীলীগ নেতাদের।
রিটার্নিং অফিসার নাজিম উদ্দিন জানান, ফেনী সদর উপজেলায় শুসেন শীল চেয়ারম্যান, শহীদ খোন্দকার ভাইস চেয়ারম্যান ও মুর্শিদা বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বেসরকারি নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলায় জহির উদ্দিন মাহমুদ চেয়ারম্যান, সাখাওয়াতুল হক ভাইস চেয়ারম্যান ও শাহিন গনিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বেসরকারি নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়েছে।
দাগনভুঞা উপজেলায় দিদারুল কবির চেয়ারম্যান, মহি উদ্দিন হায়দার ভাইস চেয়ারম্যান ও রাবেয়া বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বেসরকারি নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়েছে। অন্য সকল প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার।
জানাগেছে ফেনী সদরের পিটিআই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোট দেওয়ায় সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রত্যাহার ও পোলিং কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। সকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশিকুর রহমান তাদের আটক করেন।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ছনুয়া উচ্চ বিদ্যলায়ের প্রধান শিক্ষক উজ্জল চন্দ্র দাস জানান, জালভোট দেয়ায় সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম ও পোলিং কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মানিককে আটক করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট। পোলিং কর্মকর্তা মানিককে পুলিশে সোপর্দ করা হয় এবং শাহ আলমকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
সকাল ১০টার দিকে ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল দেয়ার সময় কাপ-পিরিজের ৬ সমর্থককে আটক করে পুলিশ।
দুপুর ১টার দিকে দাগনভুঞা আতাতুর্ক কেন্দ্রে সাপ্তাহিক ফেনীর তালাশের স্টাফ রিপোর্টার এম এ আকাশকে পিটিয়ে জখম করেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল কবির রতনের সমর্থকরা।
সোনাগাজীর জমাদার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছাত্রলীগের এক নেতা সিলযুক্ত ব্যালট পেপার ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করার পর ব্যপক ভাইরাল হয়েছে। যা আইনত দণ্ডনীয়।
ভোটার উপস্থিতির ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাগনভুঞা উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানান, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি উপজেলা নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মুলক করার জন্য প্রার্থীতা উন্মুক্ত ঘোষনা করেছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে জেলা আওয়ামীলীগ তাদের পছন্দমত প্রার্থী দিয়েছেন। সেই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় তারাই ডামি প্রার্থী দাড় করিয়ে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা করেছে বিষয়টি সকলে অবগত। এজন্য বিএনপি -জামাত দুরের কথা দলীয় কর্মী সমর্থকরাও কেন্দ্রে আসেননি।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাফেজ আহম্মদ বলেন, আমরা কাউকে মনোনয়ন দিইনি। সকলে স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রতিকে দলীয় নেতারা ভোট করেছেন।