বাতাস অনূকুলে না থাকায় আটক হন ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাইলট | বাংলারদর্পন

নিউজ ডেস্কঃ

লড়াইটা ছিল দুই বনাম কুড়ির। এক দিকে মাত্র পুরনো আমলের দু’টি মিগ-২১ বাইসন জেট। অন্যদিকে, ২০টি অত্যাধুনিক এফ-১৬।

 

বুধবার সকালে পাক ফাইটারের ভিড়ে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার মতোই অবস্থা ছিল দুই ভারতীয় ফাইটার বিমানের পাইলট। কিন্তু তাতেও বিন্দুমাত্র ঘাবড়ে না গিয়ে পাল্টা পাক ফাইটারগুলিকে তাড়া করা শুরু করে ভারতীয় বায়ুসেনার দু’টি ফাইটার।

 

ওই দিন সকালে নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া কাশ্মীরের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা সাক্ষী ছিলেন ওই অসম আকাশ যুদ্ধের। বিমান বাহিনীর পরিভাষায় যাকে বলে ‘ডগ ফাইট’। উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মুক্তি নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতীয় বায়ুসেনার একটি অংশ জানাচ্ছে, বুধবার সকালে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে প্রায় সাত কিলোমিটার ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল পাক ফাইটারগুলি। তাদের রুখতে  আকাশে ওড়ে ভারতের দু’টি বাইসন জেট। তারই একটির ককপিটে ছিলেন পাইলট অভিনন্দন।

কাশ্মীরে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত।

সেনা সূত্রে খবর, প্রথমে চারটি পাক ফাইটারের গতিবিধি র‌্যাডারে ধরা পড়েছিল। আকাশে ওড়ার পরই বোঝা যায় সংখ্যাটা চার নয়, ২০। ভারতীয় ফাইটার দেখেই মুখ ঘুরিয়ে ফিরতি রাস্তা ধরার চেষ্টা করে পাক ফাইটারগুলি। পিছন পিছন তাড়া করতে থাকেন অভিনন্দন। পরে বায়ুসেনার মিরাজ এবং সুখোই যুদ্ধবিমানও যোগ দেয়। কিন্তু তত ক্ষণে বিমান নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন পাইলট অভিনন্দন।

 

সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা পাক ফাইটারকে টার্গেট ‘লক ইন’ করে অভিনন্দনের বাইসন জেট। সেকেন্ডের মধ্যে মিগ-২১ থেকে আর-৭৩ এয়ার টু এয়ার মিসাইল আঘাত করে পাক ফাইটারকে। কিন্তু তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অভিনন্দনের মিগে আঘাত করে পাক জেটের গুলি। সূত্রের খবর, বিমান নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে রেডিও বার্তা দিয়েই ‘ইজেক্ট’ করে বিমানের বাইরে চলে আসেন তিনি। কিন্তু হাওয়ার গতি উল্টো দিকে থাকায় অভিননন্দনকে নিয়ে প্যারাশুট ভেসে যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে। একই অবস্থা হয় পাক ফাইটারের চালকেরও। কিন্তু ওই বাতাসের গতি অনুকূল হয়ে ওঠে পাক চালকের। বিমান নিয়ে তিনি পড়েন পাক অধিকৃত এলাকায়।

সুত্র : অানন্দবাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *