মনোনয়ন বানিজ্যের আশায় উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী তারেক রহমান

নিউজ ডেস্কঃ
লন্ডনে বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, গতকাল এবং আজ দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপকালে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই সিদ্ধান্তে হতবাক বিএনপির অনেক নেতাই। একজন নেতা বলেছেন, ‘যেখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটা প্রহসন হয়েছে। আমরা বর্তমান নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চাইছি। সেখানে উপজেলা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর।’ নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে ওই নেতা বলেন, ‘আমরা কর্মীদের বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছি।’
একাধিক সূত্র বলছে, আগামী মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে তারেক জিয়া ৫টি যুক্তি দেখিয়েছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ নেতাই বলছেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্য করে পকেট ভারী করার জন্যেই তারেক জিয়া এই নির্বাচনে যাবার ব্যাপারে আগ্রহী।’ একজন নেতা বলেন, ‘নির্বাচন মানেই এখন বিএনপিতে মনোনয়ন বাণিজ্য। তারেক জিয়া নিজের ঘরেই সিঁদ কাটছেন, অন্য উৎস থেকে আয় নেই। তাই নিজের দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেই চাঁদাবাজি করছেন, এজন্যই উপজেলা নির্বাচনে যাবার জন্য সিদ্ধান্ত।’ বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন, ‘তারেক জিয়া বলা মানেই আমরা উপজেলা নির্বাচনে যাবো এটা ঠিক না। এ নিয়ে আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করবো, ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করে তবেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।’ বিভিন্ন সুত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে যাবার পক্ষে তারেক জিয়া যে পাঁচটি যুক্তি দেখিয়েছেন সেগুলো হলো:
১. এর মাধ্যমে হতাশ এবং এবং হতোদ্যোম কর্মীদের আবার চাঙ্গা করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সংগঠন গোছানো যাবে। সরকারের বিরুদ্ধে দল এবং জনমত গঠন করা যাবে।
২. জাতীয় নির্বাচনে সরকার যেভাবে কারচুপি করেছে তা সবাই জানে। কিন্তু কেউ প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। উপজেলা নির্বাচন যেহেতু ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, তাই কারচুপির তথ্য সংগ্রহ সহজ হবে।
৩. উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি হলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ে আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে। উপজেলা নির্বাচন হতে পারে আন্দোলনের সূতিকাগার।
৪. এর মাধ্যমে দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মনোনয়ন দিয়ে তাদের উৎসাহিত করার সুযোগ তৈরি হবে।
৫. বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে অনেক বিএনপি নেতাকর্মী দল ত্যাগ করে বিকল্পধারা বা অন্য দলে যেতে পারে। এতে দল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দলের অধিকাংশ নেতাই অবশ্য তারেক জিয়ার এসব যুক্তির সঙ্গে একমত নন। তারা বলেছেন, জাতীয় জাতীয় নির্বাচনেই যেখানে কারচুপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়নি, সেখানে স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিরোধ গড়ার চিন্তা অবাস্তব এবং হাস্যকর। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, আসল কথা তারেক জিয়ার টাকা দরকার। দল এবং সংগঠন তাঁর কাছে গৌণ। সেজন্য হয়তো তিনি নির্বাচনের পথে দলকে ঠেলে দিচ্ছেন। যা দলকে আরেকটা দুর্ভাগ্যের দিকে ঠেলে দেবে।
Related News

মুজিববর্ষে অনন্য নজির স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | বাংলারদর্পণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : পৃথিবীতে এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একযোগে প্রায় ৭০Read More

অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা – হাসিব চৌধুরী
বাঙালি জাতির প্রাণের মানুষ, মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তি যুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসRead More