এবার রাজনীতি ছাড়ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ!

ডেস্ক নিউজঃ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জয় পেয়েছে মাত্র ৮ আসনে। হেরে যাওয়ায় সীমাহীন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দলের সিনিয়ন নেতারা। পাশাপাশি আন্দোলন ও পুনঃনির্বাচনের জন্য আইনি লড়াইয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

 

এসবের মাঝেই শোনা যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাজনীতিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহম্মদ। নির্বাচনের পর থেকে দলীয় কোন কর্মকাণ্ডে তার দেখা মিলছে না। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ জানিয়েছেন যে তিনি খুব শিগগিরই লন্ডনে যাবেন। সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজ করবেন । এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময় যখনই তিনি রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছেন তখনই তিনি বই লিখেছেন। রাজনীতিতে বিতর্কিত হলেও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বইগুলো গভীর বিশ্লেষণধর্মী এবং রাজনৈতিক গবেষণার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

 

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সঙ্গে মূলত দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে। নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মওদুদ আহমদের মধ্যে অবস্থান ছিল দুই মেরুতে। যদিও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলছেন যে, কোন ব্যক্তির সঙ্গে তার বিরোধ নেই। তার বিরোধ হলো নীতির প্রশ্নে। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে যে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এখন এতই বিতর্কিত হয়ে গেছেন যে অন্য কোন দলও এখন তাকে নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এজন্যই তিনি রাজনীতি থেকে সাময়িক বিরতিতে যাচ্ছেন।

 

তাছাড়া সম্প্রতি মওদুদ-বুলুর ফোনালাপ ফাঁসের পর বেশ সমালোচনায় পড়তে হয়েছে বিএনপির এই নেতাকে। ওই আলাপনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। তারপর থেকে পুরোপুরি ফখরুলের চোখেও ভিলেন বনে গেলেন মওদুদ।

 

শুধু ফখরুল নন,  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তোপের মুখেও পড়তে হয় মওদুদকে। গত ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে আদালতে খালেদা জিয়ার তোপের মুখে পড়েন মওদুদ আহমেদ। হঠাৎ মওদুদ আহমদের ওপর চটে যান খালেদা জিয়া। কারাবন্দি খালেদা জিয়া মওদুদকে বলেন, ‘আপনার সঙ্গে হবে না। যেকোনো বিষয় আপনারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারেক রহমান তো বিদেশে আছে। মওদুদ বারবার একই বিষয় প্রশ্ন করতে থাকেন খালেদাকে। তখন খালেদা জিয়া তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান।

 

সবকিছু মিলিয়ে ভালো সময় যাচ্ছে না মওদুদ আহমদের। বিএনপির গলার কাটা হয়ে গেছেন হেভিওয়েট এই নেতা। তাই হয়তো নিজে থেকেই আড়ালে চলে যেতে চাইছেন তিনি।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *