সরকারের বিরুদ্ধে পর্দার অন্তরালে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত শুরু

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে পর্দার অন্তরালে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সূত্র বলছে, জাতীয় ঐক্যের নামে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট প্রক্রিয়া দেশবিরোধী কার্যকলাপের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবার ছক করছেন এই জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারই অংশ হিসেবে বুধবার ২৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের গুলশানের বাসায় জাতীয় ঐক্যের নামে সরকার উৎখাতের নামে বিদেশিদের সাথে ষড়যন্ত্রের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই গোপন বৈঠকের আগে মঈন খানের বাসায় একটি নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ অন্তত আটটি দেশের কূটনীতিকেরা। এই গভীর রাতের ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকে বিএনপি নেতারা বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ছকের উপস্থাপনা করেছেন বলেও জানা যায়।

সূত্র বলছে, সরকার যখন দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করার চেষ্টা করছে তখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা ধরনের চক্রান্ত শুরু করেছে পর্দার অন্তরালে থাকা একটি মহল। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কীভাবে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করা যায় এমন ষড়যন্ত্রের ছক কষছে তারা। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে সাজা হওয়ার প্রতিবাদে নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচীর আড়ালে নাশকতা, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে এগুচ্ছে দেশে-বিদেশে থাকা বিএনপি-জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীর দোসর ও উগ্রপন্থী গোষ্ঠী।

এদিকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দেয়া এক প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তার দাবি। তার মতে, দুর্নীতির দায়ে আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজনৈতিক আন্দোলনের আড়ালে বিএনপি-জামায়াত, যুদ্ধপরাধীর দোসর ও উগ্রপন্থীদের সংগঠিত করে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দেয়ার চেষ্টা করাচ্ছে অদৃশ্য মহলটি। এই চক্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে তৈরি করছে নীল নকশা। কিন্তু সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে এ ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকায় তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অতীতে দেশের ভেতরে যত নাশকতা, নৈরাজ্য, জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে তার খবর সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে অবহিত করার পর শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা হয়। এ জন্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলে পতন ঘটনোর ছক ব্যর্থ হয়ে যায়। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে নতুন করে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবারও বিশৃঙ্খলা এবং নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বিদেশের মাটিতে বসে। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে কথিত সতর্কবার্তা জারির জন্য যে ধরনের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হয়, সেটিও অব্যাহত রেখেছে। আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের গুলশানের বাসাকে ষড়যন্ত্র করার প্রধান কার্যালয় বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র। জানা যায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ অন্তত আটটি দেশের কূটনীতিকেরা বিএনপি-জামায়াতের এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাহায্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য সব রকমের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এতে সার্বিক সাহায্য করছেন বিতর্কিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *