নিউজ ডেস্ক :
দিন যত যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন তত ঘনিয়ে আসছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভিতর চলছে প্রস্তুতি। নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। সম্প্রতি এই জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে গণফোরাম, বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। জাতীয় ঐক্যের মূল উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন। ঐক্য প্রচেষ্টায় রয়েছেন বিকল্পধারা এবং রাজনৈতিক মোর্চা যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ অনেকেই। ছোট কয়েকটি বাম এবং ইসলামপন্থী দলের নেতারাও রয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যের নামে বিভিন্ন রকম সভা সমাবেশ করে যাচ্ছে কয়েকটি দল। এসব সভা সমাবেশে বিএনপির পক্ষ থেকে যোগ দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে সঙ্গ দেয়ার মতো দলের আর কোনো নেতাকর্মীকেই দেখা যাচ্ছে না। তার অন্যতম কারণ বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, মাদক ও অস্ত্র মামলার দায়ে কারাগারে আছেন। এমনকি দলের চেয়ারপারসন নিজেই রয়েছেন কারাগারে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক মামলার ভার কাঁধে নিয়ে দেশে আসতে পারছেন না। বর্তমানে বিএনপি অনেকটা কর্মী শূন্য। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মাঠ থেকে দূরে আছে বিএনপি। বেশ কয়েক বছর এই দলকে কোনো রকম সভা সমাবেশও করতে দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গন থেকেও রয়েছে অনেকটা দূরে।
এই অবস্থায়ও তারা চাচ্ছে নির্বাচনে অংশ নিতে। যেহেতু দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী কারাগারে তারপরও তারা মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে নির্বাচনে যেতে ইচ্ছুক। তারেক এবং খালেদাও এমনটাই চান। কিন্তু নির্বাচনে যোগদানের ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু নিয়ম কানুন। দলের বেশিরভাগ নেতা কর্মীই কারাগারে, তাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু বিধি নিষেধ। এই ক্ষেত্রে যত জাতীয় ঐক্য পাশে থাকুক না কেন নির্বচনে অংশগ্রহণে রয়েছে বাধা এবং সেই অবস্থানে রয়েছে বর্তমান বিএনপি। জাতীয় ঐক্যতেও কপাল পুড়লো বিএনপির।