নিউজ ডেস্ক :
দেশের সার্বিক উন্নতি ত্বরান্বিত করতে দেশের শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে বিগত কয়েক বছরে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের গুরুত্ব আরোপের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষাতে ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।
উচ্চশিক্ষা বিস্তারের জন্য অনুমোদিত নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৮টি। এছাড়া নতুন ২৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন প্রদান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইন-২০১৩ মহান জাতীয় সংসদে অনুমোদন হয়েছে। আরও ৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইনের খসড়া প্রস্তুতির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ। আর ৯২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ডিগ্রি কলেজগুলো পরিচালিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ করে এখন এর কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ও নেভাল একাডেমিসহ সামরিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেসনালস, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে। ঢাকার টেক্সটাইল কলেজকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়েছে। নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় বাংলাদেশেই এখন বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে।
এছাড়া দেশের সাতটি কলেজের আড়াই লাখ শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার মত যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার উন্নয়নে প্রণীত হয়েছে `বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০`। এই আইনের আওতায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাদান পদ্ধতি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিচালনা পর্যন্ত সার্বিক কার্যসূচি বর্ণনা করা হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো একটি শক্তিশালী জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।