মির্জা ফখরুলকে দুই নৌকায় পা দিতে নিষেধ করলেন তারেক রহমান | বাংলারদর্পন 

নিউজ ডেস্ক: লন্ডন থেকে ফোন করে বিএনপি মহাসচিবকে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার জন্য কড়া নির্দেশ দিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

২৮ মে বিকেলে সরাসরি টেলিফোনে মির্জা ফখরুলকে তারেক রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নেতা মানতে হবে। অবশ্যই বি. চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। বি. চৌধুরীর সরকারের এজেন্ট। বিএনপি করতে চাইলে নির্দ্বিধায় বি. চৌধুরীকে ভুলে যান। একসাথে দুই নৌকায় পা দেওয়া যাবে না।’

এদিকে মির্জা ফখরুল বারবার তারেক জিয়াকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন যে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি বিরোধী শক্তি তৈরি করতে চান।

তাই নতুন এই মিশনে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বদরুদ্দোজাদের মত ডেড হর্সদের নিয়েই মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যেতে যান। কিন্তু মির্জা ফখরুলের বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিলেন তারেক রহমান।

বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জনও করে তাহলে যেন সকলে মিলে করে। এমনকি তিনি জাতীয় পার্টিকেও সঙ্গে নিতে চান। মির্জা ফখরুল তারেককে জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির জি. এম. কাদেরের সঙ্গেও তার এ নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, অধ্যাপক বি. চৌধুরীদের মাঠে নামিয়েছে সরকার। তার মতে, এই যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে নির্বাচন উপলক্ষে। ২০১৪’র মতো যেন এক তরফা নির্বাচন না হয় সেজন্যই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। তারেক জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তারেক নির্দেশ দিয়েছেন যে, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখা যাবে না।

এদিকে বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির এবং অন্যান্য আরও রাজনৈতিক দলের একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারেক রহমান মনে করছেন, এধরনের প্ল্যাটফর্ম হলে বিএনপির হাতে একক নেতৃত্ব থাকবে না। নেতৃত্ব চলে যাবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর হাতে। কারণ বেগম জিয়া এখন জেলে। অবশ্য বিএনপির অন্য একটি সূত্র বলছে, তারেক বরাবরই অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিরোধী। একারণেই তিনি তার সঙ্গে জোট গঠনের বিরোধী।

এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলকে ভারত বিরোধী চরম অবস্থান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তারেক জিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী, বিএনপি মহাসচিব আজ ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকার দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কথা শুনে ভারত বিরোধী অবস্থান নিলেও তার কথা মতো মির্জা ফখরুল কি পারবেন তার রাজনৈতিক গুরু অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ছাড়তে নাকি, এর মাধ্যমেই শুরু হবে বিএনপির ভাঙ্গন প্রক্রিয়া?

এদিকে একাধিক রাজনৈতিক বোদ্ধার সাথে কথা বলে জানা গেছে যে এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্ভবত বিএনপি ভেঙ্গে যাবে। বিএনপির অবস্থা হবে জাতীয় পার্টি মত। নেতৃত্ব ও ক্ষমতার লোভে বিএনপির সিনিয়র নেতারা তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করবেন এবং খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়েই রাজনৈতিক একটি জোটের মধ্যে থেকেই আগামী নির্বাচন করে নিজেদের সেফ জোনে রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *