রংপুরে আনসার নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ: নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি

জানে-আলম শেখ :

রংপুর বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আনসারের মাঠ এবং ভর্তি পরীক্ষায় আনসারের কর্তৃপক্ষের বিরোধী কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা থেকে আগত দুই কর্তাব্যক্তির সাথে স্থানীয় কয়েক কর্মকর্তার লেনদেন নিয়ে কথিত শারীরিক পরীক্ষায় উত্তির্নদের মোবাইলে কনফারমেশন এসএমএস পাঠাতেও ১৬ ঘন্টা বিলম্ব হয়। এ নিয়ে নগরীর মাহিগঞ্জে উত্তেজিত চাকরী প্রত্যাশীদের সাথে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। চাকরী প্রত্যাশীরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পূনরায় শারীরিক ও ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

 

আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় সূত্র জানায়, রংপুর বিভাগে আট জেলার সাধারণ আনসারের ৩৫০টি পদে লোক নেওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন লাইনে আবেদন চাওয়া হয়। এতে কয়েক হাজার আবেদন পত্র জমা পড়ে। গত ১৫ নভেম্বর রংপুর স্টেডিয়ামে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে শারীরিক মাপ যোগ নেয়া হয়। পওে রাত ৮ টা থেকে যাদেরকে উর্ত্তীর্ন করা হয়েছে তাদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য মোবাইলে এসএমএস দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এসএমএস না আসায় শারীরিক মাপযোগে অংশগ্রহনকারীরা মাহিগঞ্জ আনসার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের সামনে ভীড় করতে থাকে।

 

আনসার ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন সূত্র জানায়, আগে থেকে জন প্রতি ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্র্যন্ত রফাদফা করেই শারীরিক মাপযোগে ৮৫০ জনকে উত্তীর্ন করা হয়। এজন্য ঢাকা থেকে আগত দুই আনসার কর্মকর্তার সাথে স্থানীয় আনসার কর্মকর্তাদের রফাদফার জন্য একটি নির্দিষ্ট অংশ দেয়ার কথা। কিন্তু ঢাকা থেকে আগত আনসার কর্মকর্তারা এসে দেখেন স্থানীয় আনসার কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট টাকার চেয়ে অনেক বেশী টাকা নিয়েছে। এতে তারাও অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে। কিন্তু স্থানীয় আনসার অফিসাররা তা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। বুধবার সারা রাত এবং বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত উভয় কর্মকর্তাদেও মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় মোবাইলে এসএমএস যাচ্ছিল না। পরে ঢাকা থেকে একটি ফ্যাক্স নিয়ে এসে তা টাঙ্গিয়ে দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিপত্তি বাঁধে। সেখানে দেখা যায় অনেক প্রার্থী যারা ১ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছিলেন স্থানীয় আনসার কর্মকর্তাদের, তারা তালিকায় নেই। এরই মধ্যে কিছু কিছু মোবাইলে এসএমএস যায়। এরই মধ্যে শুরু হয়ে যায় ভর্তি পরীক্ষা। শারীরিক পরীক্ষায় উর্ত্তীন পরীক্ষার্থীদের নাম থাকা সত্বেও অনেকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন নি। আবার যারা টাকা দিয়েছিলেন, তাদের অনেকের নাম সেখানে নেই। এ নিয়ে সেখানে বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হয়। চাকরী প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ করতে থাকে। এরই মধ্যে পঞ্চগড় জেলার একজন পরীক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা তাকে ব্যাটালিয়নের ভিতওে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধোর করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীরা ব্যাটালিয়নের প্রধান ভাংগার চেষ্টা করে।এসময় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা বিক্ষোভকারী চাকরি প্রত্যাশীদের উপর ব্যপক লাঠিচার্জ করে। এতে অণÍত ২০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *