তারেক রহমানের প্রত্যাবাসন ব্রিটিশ আইনে হবে | বাংলারদর্পন

শেখ শাহরিয়ার জামান >>

কোনও বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ যুক্তরাজ্য সরকার বিবেচনা করবে কিন্তু প্রত্যাবাসন হবে ব্রিটেনের এক্সট্রাডিশন অ্যাক্ট অনুযায়ী। বুধবার বিএনপি নেতা তারেক জিয়ার ফেরত পাঠানোর বিষয়ে এক ইমেইলের জবাবে ব্রিটিশ হাই কমিশন জানিয়েছে, ‘এক্সট্রাডিশন অ্যাক্ট ২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এক্সট্রাডিশন অনুরোধ বিবেচনা করবে যুক্তরাজ্য।’

তারেক জিয়ার প্রত্যাবাসন বিষয়ে হাই কমিশন জানায়, ‘যুক্তরাজ্য সরকার কোনও একক ব্যক্তির অভিবাসন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে না।’

তারেক রহমানের প্রত্যাবাসন বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টির কারণ, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘দুই দেশের সরকার তারেক জিয়ার ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে। তাকে দেশে ফেরত যেতে হবে।’

সরকারের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এসেছিলেন। ওইসময় তিনি তারেক রহমানের বিষয়টি নিয়ে আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ওই সময় তারেক রহমানকে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি আনুষ্ঠানিক পত্র পাঠানোর জন্য বাংলাদেশকে বলেছেন বরিস জনসন।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও যুক্তরাজ্যের আন্ডার সেক্রেটারি সাইমন ম্যাকডোনাল্ডের মধ্যে মার্চে দ্বিতীয় কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে উভয়পক্ষ সম্মত হয় দুই দেশ এক্সট্রাডিশন অনুরোধ বিবেচনা করবে।’

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় স্ট্র্যাটেজিক সংলাপের যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়ে বলা হয়, ‘ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তরা সীমান্ত অতিক্রম করলেও যেন বিচার থেকে রেহাই না পায় এবং বাংলাদেশি তদন্তকারী, প্রসিকিউটর ও জুডিশিয়াল কর্তৃপক্ষকে যুক্তরাজ্য সহায়তা করবে। উভয়পক্ষ মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স (আইনগত সহায়তা) ও প্রত্যাবাসন অনুরোধে সহায়তার ক্ষেত্র আরও বেশি দৃঢ় করবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে তারেক রহমানকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করে বাংলাদেশ থেকে একটি চিঠি দিলেও ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এর কোনও জবাব দেয়নি।

এদিকে, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অ্যালিসন ব্লেক সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘এক্সট্রাডিশন একটি আইনি বিষয়। আমরা এটিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাই। এটি এমন একটি বিষয়, যা আমরা রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাই। আমরা মনে করি, এটি আইনি ও বিচার সংক্রান্ত বিষয়, রাজনৈতিক নয়। ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে কোনও এক্সট্রাডিশন চুক্তি নেই। আমরা এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি।’ তিনি জানান, এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিষয়। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের অভিমত নেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *