নিউজ ডেস্ক: মাদার অব হিউম্যানিটি বা মানবতার মা, মেডেল অব ডিসটিংকশন, বিশ্বের সকল দেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খেতাব প্রাপ্তির ধারাবাহিকতায় এবার সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির প্রেক্ষিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বাতিলের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে ভূষিত করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
১২ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘মাদার অব এডুকেশন’উপাধিতে ভূষিত করেন।
ছাত্রদের দাবির কথা বিবেচনা করে মমতাময়ী মায়ের মতো শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলেও আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে তা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তৎপর ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমান।
আন্দোলনকারীদের দাবিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিলে প্রাথমিকভাবে আন্দোলন স্থগিত করে আন্দোলনকারীরা। পরে এই ফাঁকে আন্দোলনকারীদের উস্কে দিতে নানা অজুহাতে তা আবার শুরু হয়। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে পড়ে তারেকের যড়যন্ত্র।
আন্দোলনকারীদের উস্কে দেয়ার তৎপরতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাসাসের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদের সাথে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক অডিও ফোনকল রেকর্ড পাওয়া যায়। ২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ফোনালাপটিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নির্দেশ দিতে শোনা যায় তারেক রহমানকে।
ঘটনা অন্যদিকে গড়ানোর আগেই রাজনৈতিক জ্ঞান ও জনকল্যাণমুখী চিন্তার অধিকারী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক দুরদর্শীতার বিচক্ষণতায় বিরোধী পক্ষের চক্রান্তের কথা ভেবে আন্দোলকারীদের দাবি মেনে নেন। যার মাধ্যমে কোটা বাতিলকে ভিন্ন আঙ্গিকে রূপ দিতে তৎপর ওই ষড়যন্ত্র ধুলিসাৎ হয়ে যায়। ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিকে সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী। আর তাই ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রাপ্তি সত্যিই যথার্থ।