গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচনে যত টাকায় মনোনয়ন বিক্রি করলেন তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান তরেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠলেও এবার গাজীপুর-খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নে সে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলো। বাণিজ্যের অংশ হিসেবে দুই সিটিতেই দলের সমর্থিত মেয়র থাকা সত্ত্বেও নতুন মুখ দিয়েছে বিএনপি। যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্য।

জানা গেছে, গাজীপুরে ধানের শীষ পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার। আর খুলনায় পেয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

৯ এপ্রিল রাতে গুলশান অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর থেকেই খোদ বিএনপির একটি অংশ থেকে অভিযোগ উঠেছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দিয়েই গাজীপুরে হাসান উদ্দিন সরকার এবং খুলনাতে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন। এমনকি তৃণমূলের কোনো সিদ্ধান্ত এবং কারারুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়ারও মতামতকে পাত্তা দেননি তারেক রহমান। টাকার বিনিময়ে তারেক রহমান এমন কাজ করেছেন বলেও দাবি করেছেন বিএনিপর উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা।

এ বিষয়ে দলের একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলেন, তারেক রহমানের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে আজ দল দিকভ্রান্ত। তিনি যা করছেন তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। তবে মনোনয়ন নিয়ে তিনি যা করছেন তা আসলে দলের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো ভোট হয়। সেই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল মান্নান তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আজমত উল্লাহ খানকে প্রায় দেড় লাখ ভোটে পরাজিত করেন। এর মাসখানেক আগে অনুষ্ঠিত হয় খুলনা সিটি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেককে ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তা সত্ত্বেও এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্তকে কেউই ভালো চোখে দেখছে না। তার ফলশ্রুতিতে তৃণমূল নেতাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে মতানৈক্য।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৫ মে দুই সিটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *