ডেস্ক রিপোর্ট :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম চেনা মুখ গোলাম রাব্বানী। হাই্রবিডের এই যুগে পরগাছা শ্রেণীর নেতা কর্মীদের ভীড়ে প্রকৃত নেতা কর্মী পাওয়া যেখানে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে একজন গোলাম রাব্বানী অবশ্যই ব্যতিক্রম। ৫ বছর বিশ্ববিদ্যালয় এর রাজনীতি করেছেন, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগ এর তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক, এর পর হল সভাপতি প্রার্থী হিসেবে যোগ্যতম হয়েও বঞ্চিত হয়েছেন। বর্তমান কমিটিতে ছাত্রলীগ এর শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে সোহাগ-নাজমুল কমিটিতে উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সারাদেশের তৃণমুল পর্যন্ত যে কাজগুলো প্রশংসাও কুড়িয়েছে অনেক। আগামী মাসেই হবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। ছাত্রনেতাদের আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। ছাত্রমহলে তার আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা এতে ভূমিকা পালন করছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। দরিদ্র অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এরই মধ্যে তার একাধিক প্রশংসনীয় উদ্যোগ প্রশংসা কুঁড়িয়েছে সবার ।
তৃনমূলের নেতা কর্মীরা তাকে ডাকেন মানবতার ফেরিওয়ালা এবং মানবিক ছাত্রনেতা। কারো দুঃখ কষ্টের কথা শুনলেই সাধ্যমত চেষ্টা করেন সহায়তা করার। মানবিক বিভিন্ন কাজের কারনে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে তারা নাম।
বায়ো
হাইব্রিড যুগে বঙ্গবন্ধর আদর্শে বিশ্বাসী নেতাকর্মীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেই নিপিড়ীত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেই অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেই অত্যাচারিত, নির্যাতিত মানুষের হয়ে কাজ করা। যুগের পর যুগ বঙ্গবন্ধুর নাম রয়ে গেলেও আদর্শ চর্চায় খুব কম সংখ্যক মুজিব সেনাকেই পাওয়া যাবে । যদি তাই হতো তাহলে কিন্তু বিগত বছরগুলোতে ছাত্রলীগের এত বদনাম হতো না। বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড থেকে বদরুল কিংবা বিচ্ছিন্ন আরও কিছু ঘটনা। যেগুলো কোনভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে যেতে পারে না। তাহলে ছাত্রলীগ নামধারী কারা এসব কর্মকাণ্ড করেছে বিগত বছরগুলোতে?
রাজনীতির মাঠে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আকঁড়ে ধরে যারা রাজনীতি করেন তাদের নিয়েই বিডি টোয়েন্টিফোর টাইমস এর এই ধারাবাহিক আয়োজন। আজকে থাকছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কার্য নির্বাহী সংসদের শিক্ষা ও পাঠ চক্র বিষয়ক সম্পাদক জনাব গোলাম রাব্বানীকে নিয়ে আলোচনা। বিগত বছরগুলোতে ছাত্ররাজনীতিতে তার ভূমিকা ও কর্মযজ্ঞ।
দলের প্রতি নিবেদিত গোলাম রাব্বানী- বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার নিয়ে কটুক্তি, সংবিধান ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রদানের অভিযোগে বাদী হয়ে তুহিন মালিকের বিরুদ্ধে ৩ টি মামলা দায়ের করেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক শাহাদাতকে পেট্রোল বোমা ও ককটেল সহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ, ডিএমপি পুরস্কার লাভ, পুরস্কার লব্ধ অর্থ বার্ণ ইউনিটে প্রদান। ভালোবাসা দিবসে হাতখরচের অর্থ থেকে জমানো অর্থ দিয়ে হান্নান নামক এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাইকে ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে রিক্সা উপহার দিয়েছিলেন।
বকশীবাজার এ ছাত্রদল ও শিবির এর নাশকতার চেষ্টাকালে ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিহত করেন।সড়ক দুর্ঘটিনায় মারাত্মকভাবে আহত রিক্সাচালক জাহিদুল ইসলামের চিকিৎসা করানো, ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেয়া ও তার সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন জনদরদী এই ছাত্রলীগ নেতা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তিমূলক স্লোগান দেয়ায় ইমরান এইচ সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, মানহানি মামলা দায়ের। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত দেখামাত্র পচা ডিম ছোড়াঁর ঘোষণা, সে ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আদালত এর বাইরে ইমরানকে লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ এর কর্মীদের ডিম ছোড়া।
পুলিশের টিয়ারগ্যাস এর সেলে চোখ হারানো তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর এর পক্ষ থেকে ডিএমপির প্রথম ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা খরচ বহনের দাবী করা। যা পরবর্তীতে মিডিয়া ফোকাস পেলে সরকারের পক্ষ হতে সিদ্দিকুরকে চিকিৎসার জন্য ভারত পাঠানো হয়। ছাত্রসমাজ এর পক্ষে সিদ্দিকুরের হয়ে ডিএমপির কাছে প্রথম ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা খরচ দাবী করেন তিনি।
মুখ দিয়ে লিখে অনার্স পাশ করে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর শারীরিক প্রতিবন্ধী অদম্য মেধাবী হাফিজুর এর লেখাপড়ার খরচ চালানোর দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে। এখানে অগ্রনী ভূমিকা পালন করনে গোলাম রাব্বানী।
এছাড়াও বগুড়ার রিকশাচালকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন সাথে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। সেই সাথে পঙ্গুত্ব বরণকরা সেই রিকশাচালকের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহন করায় দায়িত্ব নেন। আর কদিন আগেই ছেলে ও পুত্রবধুর কাছে নির্যাতনের শিকার এ বৃদ্ধা মায়েরও ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্রলীগের অন্যতম জনপ্রিয় এই নেতা।
সবকিছু নিয়ে সামগ্রিকভাবে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে এই ছাত্রনেতা জানান, ‘রাজনীতি করি একটি আদর্শের জায়গা থেকে। সেই আদর্শ থেকে যে শিক্ষাটা পেয়েছি সেটা হলো মানুষের জন্য কাজ করা। মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মানুষের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত করা। তাই যখনই সুযোগ আসে চেষ্টা করি ভালো কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখার। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত বছরগুলো ওরকম কিছু কাজ করেছি। সকলের দোয়া থাকলে ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলোতেও ভালোকাজ চালিয়ে যাবো।’
তিনি আরও যোগ করেন- ‘‘আমি পরম সৌভাগ্যবান, বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহধন্য আমার মরহুম মাতামহ জনাব শামসুদ্দীন আহম্মেদ এর কাছ থেকে সেই ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধুর কথা, তার আপোষহীন নীতি, ব্যক্তিত্ব ও আদর্শের কথা শুনে, অনুপ্রাণিত হয়ে তা অন্তর গহীনে ধারণ করেই আমার ছাত্রলীগ এর রাজনীতির হাতেখড়ি। রাজনীতি করি মানুষের জন্য, তাদের সেবায়, তাদের কল্যাণে। বিনিময়ে কেবল চাই সবার অন্ত:প্রাণ দোয়া, আর অকৃত্রিম ভালোবাসা, যা আমার অনাগত আগামীর পথ চলের পাথেয়।