যে কারণে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়তে পারে | বাংলারদর্পন 

 

নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)- এর দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য আসামিদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু গ্রাউন্ড বিবেচনায় মূল আসামিকে পাঁচ বছরের সাজা আইন অনুমোদন করে না বলে মনে করেন আইনজীবীগণ। তাই খালেদা জিয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিশন আবেদনের মাধ্যমে তার সাজা বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন আইনজীবীগণ।

তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানিতে বলেছেন, ফৌজদারি আইনের ধারায় দুদকের রিভিশন করার সুযোগ নেই। সাজা বাড়াতে হলে আপিল আবেদন করতে হবে, নয়তো দুদককে তাদের আবেদন প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের মতে, বিদ্যমান আইনে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে আইনের কোনো পরিবর্তনের দরকার নেই। ক্রিমিনাল ‘ল অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট- এর (১৯৫৮) ১০ এর (১)(এ) ধারায় বলা আছে কোনো বিশেষ জজ আদালত, দায়রা জজ আদালত, অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত অথবা সহকারী দায়রা জজ আদালতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা যাবে। যেহেতু সেখানে আপিলের কথা বলা হয়েছে, সেহেতু সেখানে রিভিশন আবেদনও করা যাবে।’

উল্লেখ্য, সহযোগী আসামিদের তুলনায় মূল আসামির সাজা কম হওয়ায় সংক্ষুব্ধ হয়ে দুদক বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের সাজা অংশের বিরুদ্ধে রিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করেন। ২৮ মার্চ ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত তা গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া বিচারিক আদালতের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে মূল আসামি খালেদা জিয়া এবং সরকারকে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *