সশস্ত্র তৎপরতায় সরকার উৎখাতের নীল নকশা করছে তারেক

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লন্ডনে তারেক জিয়ার কমর্কান্ড রহস্যজনক বলে, ঢাকার গোয়েন্দারা জানিয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী লন্ডনে বসে, তারেক বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের চক্রান্ত করছেন। এজন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ছাড়াও তারেক জিয়া একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে আরেকটি ২১ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটানোই তারেকের মূল লক্ষ্য, বলেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে কয়েকটি বৈঠকের সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছেন তারা।

মূলত: তাঁর মা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন ব্যর্থ হবার পর তারেক দফায় দফায় বিভিন্ন সন্দেহজনক ব্যক্তি ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। গোয়েন্দাদের কাছে ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১৯ ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে তারেক জিয়ার বৈঠকের তথ্য পাওয়া গেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি তারেক জিয়া লন্ডনে হলবার্নের এক রেস্তোরাঁয় একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে পাকিস্তান দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা, পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা ছিল। বৈঠকে চতুর্থ ব্যক্তিটির পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। ওই বৈঠকে, সরকার পতনে সন্ত্রাস এবং স্পর্শকাতর স্থানে হামলার পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি ইস্ট লন্ডেনের একটি বাসায়, ওই বৈঠকে দুবাই থেকে দুজন ভারতীয় যোগ দিয়েছিল। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের দুজন সদস্যও ওই বৈঠকে ছিল। ওই বৈঠকে প্রথম বৈঠকের আলোচনার সূত্র ধরে পরিকল্পনার বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হয়। আর তৃতীয় বৈঠকে সরকার পতনের লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট মাস্টার প্ল্যান হয়েছে বলেও জানা যায়। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, বড় ধরনের নাশকতার মাধ্যমে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করাই হলোই তারেক জিয়ার মাস্টার প্ল্যান। এজন্য সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে টার্গেট করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের আদলে একটি বড় ধরনের নাশকতার তথ্য তাদের কাছে আছে। হোলি আর্টিজানের কায়দায় জঙ্গি সংগ্রহ করে তাদের দিয়ে এই ঘটনা ঘটাতে চান তারেক জিয়া। আর এজন্যই তিনি বিএনপিকে দিয়ে বড় কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি দিচ্ছেন না। তারেক বিএনপিকে শান্ত এবং শান্তিপূর্ণ রেখে সরকার উৎখাতে জঙ্গিদের ব্যবহার করতে চায়। যাতে এর দায় বিএনপির উপর না আসে। গত কিছুদিন ধরেই তারেক ঢাকায়, তার অনুসারীদের চুপচাপ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কর্মসূচির ব্যাপারেও নেতাদের ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে বিএনপি সবকিছুতে বশ্যতা স্বীকার করেছে মনে হয়। আর সরকারও একটু ঢিলে হয়ে যায়।

সূত্রমতে, এই তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে আসার পরপরই সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে । গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে । বাংলাদেশে যারা এই মিশনে কাজ করতে পারে তাঁদের অধিকাংশই গোয়েন্দা জালে আটকে গেছে ।

একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সরকার উৎখাতে মরিয়া তারেক শুধু একটি পরিকল্পনা করেই ক্ষান্ত হবে, তা আমি বিশ্বাস করি না। তাই আমরা সতর্ক আছি। আমরা জানি তারেক একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করতে পারে সে। তারেকের টাকাও আছে অঢেল। তিনটি বৈঠকেই তারেক বলেছে, যত টাকা লাগুক, আমি সরকারের পতন চাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *